avertisements 2

রাজনীতি যাদের পেশা, তাদের কাছে আমি এখন নেশা: মাশরাফী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে নড়াইলে। নড়াইলের যেখানেই ঘটনা ঘটুক, সেখানেই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে জড়ানোর প্রবণতাও দেখা গেছে। আর এই নিয়ে ভীষণ ক্ষেপেছেন মাশরাফী। ফেসবুকে দিয়েছেন লম্বা একটি পোস্ট। ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোমুখি লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের এই সংসদ সদস্য।
বাংলাভিশনের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘প্রথম আক্রমণের কথা হয়তো সবাই ভুলে গেছেন, তাই মনে করিয়ে দিচ্ছি । তারা প্রথম ঝামেলা করল মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে। তাকে যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা দিল, ঠিক সেই সময় তাকে ওয়াজ করার জন্য নড়াইলে আমন্ত্রণ জানানো হলো। নিয়ম অনুযায়ী, যখন ওয়াজ মাহফিল হয়, সেটার পারমিশন দিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন, নিরাপত্তার ব্যাপার  দেখেন পুলিশ প্রশাসন। অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়া অথবা নিরাপত্তার বিষয়ে সংসদ সদস্যের এখানে কোনো দায়িত্ব নাই।

জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন বা আয়োজকদের পক্ষ থেকে থেকে আমাকে বিন্দুমাত্র না জানিয়ে ওয়াজ মাহফিল দেওয়া হলো নোয়াগ্রামে, যেখানে আমার শ্বশুর বাড়ি। বক্তাকে আগেই বলা হলো যে ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি নেওয়া আছে, আপনি চলে আসেন। অথচ কালনা ঘাট পর্যন্ত আনার পর তবেই কেবল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হলো। ঘাট থেকে যখন ওনাকে বলা হলো যে, 'আপনার চিঠি কোথায়?' তিনি দিতে পারলেন না। মাহফিল কর্তৃপক্ষ তখন আমাকে ফোন করে বলল, 'আপনি এই সমস্যা ঠিক করেন।'  কথা হলো, তখন এই সমস্যার  সমাধান করা কিভাবে সম্ভব? এটা তো পুরোটাই একটা প্রক্রিয়া, যা আরও সাত দিন আগে থেকে করতে হয়!

তখন ওই লোকগুলো বলা শুরু করে দিল, আমি নাকি ওয়াজ মাহফিল হতে দিচ্ছি না। পুরো খেলাটা খেলেছে এমন ভাবে, তাকে আমার নির্বাচনী এলাকায়- আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় এনে সরকারের কাছে প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, আমি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মানছি না। আর যদি না আসতে পারে, তাহলে প্রচার করা হবে যে, মাশরাফী ওয়াজ করতে দেয় না। দুই দিক থেকেই তাদের জয়। আর দুই পক্ষের কাছেই আমাকে খারাপ বানাবে। 

তবে যাই হোক, আল্লাহ মালিক, সত্য আর চাপা থাকে নি। সবাই কম-বেশি জেনেছে সত্যিটা, আর যারা জানে না,তারা ভুল বুঝেই আছেন।

এবার উল্টো খেলা খেলল তারা। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের উপর আক্রমণ করে তাদেরকে বিপদে ফেলা, পাশাপাশি আমাকেও বিপদে ঠেলে দেওয়া। 

এমনকি, কিছুদিন আগে কালিয়ার মির্জাপুরে সম্মানিত একজন শিক্ষককে অপমানের ঘটনায়ও আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে, অথচ ওটা আমার নির্বাচনী আসনের ভেতরই নয়।

যাক, আপনারা  সব তো করলেন। এবার আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ, পেছন থেকে আঘাত করতে করতে আপনারা ক্লান্ত হয়ে যাবেন। তো আসুন, সামনে থেকে আঘাত করুন। আমার সঙ্গে সরাসরি লড়াই করুন। আমি সাধুবাদ জানাব।

কিন্তু আমাকে ভোগানোর জন্য দয়া করে সাধারণ ও অসহায় মানুষদের আর ক্ষতি করবেন না। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, লড়াই আমার সঙ্গে করুন।

আমি জানি, নড়াইলে রাজনীতি যাদের কাছে পেশা, তাদের কাছে আমি এখন নেশা...

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2