প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলাকারীর হাতে 'নৌকা'
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৪ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর হামলাকারী এক নেতা। তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করার অভিযোগও রয়েছে।
গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে বরগুনার তালতলীর পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। এ তথ্য জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় পর্যায়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার নৌকার কাণ্ডারি হওয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারকালে ছোটবগী বাজার এলাকায় পায়রা নদীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিডবোটে হামলা করেছিলেন। ওই সময় আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মতিউর রহমান তালুকদারের সমর্থক ছিলেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় ছাত্রশিবিরের সূত্রাপুর থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের গুঞ্জন রয়েছে।
তবে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্পিডবোটে হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। এ ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ কেউ আমাকে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলছেন। এটা অসত্য।
এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে পণ্যের দর কিছুটা বেড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতির উত্তরণ করা সম্ভব হতো। পরবর্তী সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী পণ্যের দাম কমাতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, নিবিড়ভাবে তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা করলেই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রশিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।