এবার মিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১৪ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের পর এবার নতুন মিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে এই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন বাস্তবায়নে যাত্রা শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার গণভবনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর তৃতীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই সভার বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক টেকশহর ডটকমকে জানান, ‘গত ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশের একটি কৌশলপত্র বা রূপরেখা তৈরি করতে বলেছিলেন। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের বৈঠকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার পরামর্শ এবং নির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশের কনসেপ্ট পেপারটা উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেছেন।’‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পরে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ উল্লেখ করেন পলক।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চারটি স্তম্ভ এবং যে নির্দিষ্ট টার্গেটগুলো ছিলো তার সবগুলো পূরণ হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী চান, এখানে থেমে না থাকতে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ফলো করবো ঠিক কিন্তু আগামী দিনে নতুন কোনো শিল্প বিপ্লবের প্রবক্তা হতে চায় বাংলাদেশ। নতুন কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উদ্ভাবক বাংলাদেশ হতে তৈরি হোক, সেটি তিনি চান।’‘সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান’ জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, ‘ ভিশন ২০২১, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে মিশন ছিলো সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুপরামর্শ ও তাঁর তত্ত্বাবধানে পূরণ হয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন, দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’‘বৈঠকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হয়েছে যে, ওনার নেতৃত্বে এই মিশনটা পূরণ হয়েছে’ বলেন পলক।এর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠক বসেছিলো ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। আর আগে প্রথম বৈঠক হয় ২০১০ সালের ৩ আগস্ট।আর ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স’ নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ করা হয়।