শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি আর বাড়ছে না। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, যারা দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন, তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন। যারা টিকা নেয়নি, তারা অনলাইন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস করবেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। ১২ বছরের নিচের বয়সীদের করোনা টিকা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১০ বা ১৪ দিন পর প্রাথমিকের পাঠদান শুরু হবে। তবে তাদের অনলাইনে ক্লাস চলবে। খুব দ্রুত করোনা সংক্রমণের অবস্থা স্থিতাবস্থায় চলে আসবে আশা করি। ১২ বছরের নিচে যারা রয়েছে, তাদের টিকা দেয়ার বিষয়ে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী ১ম ডোজ টিকা পেয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা প্রায় সবাই পেয়েছে। আর ২য় ডোজ টিকা পেয়েছে ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন। আমরা আশা করছি, ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ২য় ডোজ টিকা দিতে পারব। এর আগে বুধবার করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ কমিটিও মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পক্ষে মত দেয়।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা টিকা দিয়েছেন তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে। আর যাদের টিকা দেয়া হয়নি তারা টিকা নেয়ার আগ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করবেন।
মন্ত্রী বলেন, আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের ক্লাস শুরুর বিষয়ে আমরা ভাবছি না। আরও একসপ্তাহ পরিস্থিতি দেখার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও সবাই টিকাগ্রহণ করলে চলতি মাসের শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না।
এরপর নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত জানুয়ারি মাসে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।