আবারও লকডাউনের পথে হাঁটবে সরকার?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার রোধে দীর্ঘদিনের লকডাউন শেষে ১১ অগাস্ট থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। দেশজুড়ে টানা ১৯ দিন কঠোর লকডাউন থাকার পর গেল ১০ আগস্টের পর আর লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায়নি সরকার। সংক্রমণের হার সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলেও টিকা দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তবে দেশের জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, আবারও কি লকডাউনের পথে হাঁটবে সরকার?
নানা সূত্রে জানা গেছে, বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে বাসায় বসে থাকতে হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। তাদের বিষয় মাথায় রেখে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে আর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে না। কোভ্যাক্সসহ বিভিন্ন উৎস থেকে করোনার ২১ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতিও পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে দুই কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এভাবে টিকা দেওয়া সম্ভব হলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে। তখন বিধিনিষেধ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত আট দিন ধরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুইশ’র নিচে। সর্বশেষ শনিবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মৃত্যু হয় ১২০ জনের। এর আগে শুক্রবার ১৪৫, বৃহস্পতিবার ১৫৯, বুধবার ১৭২, মঙ্গলবার ১৯৮, সোমবার ১৭৪, রোববার ১৮৭, শনিবার ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ হিসাব মতে, প্রতিদিন নিম্নমুখী হচ্ছে করোনায় মানুষের মৃত্যু।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উপার্জন না করলে খেটে খাওয়া মানুষ কি করে খাবে? আরও কিছু বিবেচনা করে বাংলাদেশে লকডাউন বাস্তবায়ন করা কঠিন। আপাতত এক মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই। সংক্রমণ বা মৃত্যু মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে লকডাউন দেওয়া হবে না। তবে টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
নীতিনির্ধারকদের সূত্রে জানা যায়, টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলতে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়া মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনার টিকা এসেছে তিন কোটি নয় লাখ ৪৩ হাজার ৭২০ ডোজ। এর মধ্যে দুই কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়াদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন এক কোটি ৬১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ জন।