পুড়ে ছাই মহাখালীর সাততলা বস্তির কয়েকশ’ ঘর আগুন নিয়ন্ত্রণে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ও এলাকাবাসীর প্রাণান্তকর চেষ্টায় দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বস্তির অন্তত এক হাজার ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার (৬ জুন) দিবাগত ভোর রাত ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন বস্তির বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন জানান, ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে সেখানে ৪টা ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ১৪টি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বস্তির বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, বস্তিজুড়ে কাঠ ও টিনশেডের ঘর। পুরো বস্তিতে প্রায় দুই হাজার ঘর রয়েছে। এর অর্ধেকই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
অনেক দূর থেকেই সাততলা বস্তিতে লাগা আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছিল। অন্যদিকে উৎসুক জনতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি পুলিশ ও র্যাব নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করেছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর সূত্র জানায়, এর আগে ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ডিসেম্বরে এবং ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর মহাখালীর এই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের দুর্বল তারের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।