বৃত্তির আনন্দ গেল উড়ে, ছোট্ট বুকে দীর্ঘশ্বাস
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ মার্চ,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:২৮ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পটুয়াখালীর বাউফল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল নুর আলামিন (১১)। কিন্তু নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত সেই ফলাফল দেওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই স্থগিত করা হয়। বুধবার (০১ মার্চ) আবার সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত হলে তাতে আর বৃত্তি মেলেনি নুর আলামিনের।
নুর আলামিন বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের উত্তর কালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার ক্লাস রোল ছিল ০৬ এবং বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় রোল ছিল ৭৩৬। বর্তমানে নুর আলামিন কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
নুর আলামিন জানায়, স্যার আমাকে বলেছিল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছি। মোবাইলে সেই রেজাল্ট বের করে দেখেছি। সবাইকে মিস্টিও খাইয়েছি। কিন্তু আজকে হঠাৎ জানতে পারি আমার বৃত্তি আসেনি।
আল-আমীনের বাবা জামাল মৃধা (৪৯) বলেন, আমার ছেলে বৃত্তি পাওয়ায় অনেক খুশি হয়েছিলাম। আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যদি সে বৃত্তি নাই পেত, তাহলে আগে কেন দিল! কেন আমার ছেলের মনটা ভেঙে দিল তারা!
মা শিখা বেগম (৩৫) কান্না করে দিয়ে বলেন, আমি এটা মানতে পারিনি। বাংলাদেশের এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা! সরকারের কাছে আবেদন, আবার ফলাফল সংশোধন করা হোক।
উত্তর কালাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, আসলে আগের ফলাফল বাতিল হয়েছে। সেখানে যারা নাম লিখতে পারে না তারাও যেমন বৃত্তি পেয়েছে, তেমনি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও বৃত্তি পেয়েছিল। সেটা অধিদপ্তর বাতিল করেছে। আজ নতুনভাবে দেওয়া ফলাফলে যারা বৃত্তি পেয়েছে, তারাই প্রকৃত বৃত্তিপ্রাপ্ত।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা বক্তিয়ার রহমান বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে আগে ভুল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। এবারেরটা সঠিক। আগে কারা পেয়েছে, এবার কারা পায়নি, এরকম তথ্য আমাদের কাছে নেই।