বিনা দোষে অপবাদ নেব না: শেখ হাসিনা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:০৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিনা দোষে অপবাদ নিতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে অনেকে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি। তাই কেউ যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়, বিনা দোষে সে অপবাদ নিতে আমি রাজি না। বিশ্ব ব্যাংক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি।’
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জনসভার শুরুতে ৪৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তারপরও ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। লন্ডনে দেড়শ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। আমরা কথা দিয়েছিলাম দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করব, সেটা আমরা করেছি।’
সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সন্তানের দিকে খেয়াল রাখবেন।’
বিএনপি জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা করেন। কেউ কেউ বলেন বড় দুই দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা হয় কীভাবে? ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে তারা মাত্র ৩০টিতে জয়ী হয়। বাকিগুলোতে মহাজোট জয় লাভ করে। আর বিএনপি নিজ দলের গঠনতন্ত্র মানে না, আইন মানে না। তারা দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না। জনগণকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।’
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শত সড়ক, শত সেতু চালু হয়েছে একদিনে, যা কোনো সরকার করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই তা করে দেখিয়ে দিয়েছে। দেশের একটি পরিবারও ভূমিহীন থাকবে না। কেউ বাদ পড়লে ঘর করে দেওয়া হবে।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন। জনসভার মাঠে তৈরি করা হয় নৌকা আকৃতির বিশাল মঞ্চ।
জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধার কর্মসূচী রয়েছে। পরে বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ।