অসহায় আত্মসমর্পণে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই জয়। বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ছিল ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে খেলার। তবে বাজে ব্যাটিং-বোলিং ও বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাল-সবুজের। ৫ উইকেটের হারে গ্রুপপর্বেই বিশ্বকাপযাত্রা শেষ হলো সাকিব আল হাসানদের। অন্যদিকে, ছিটকে যাবার শঙ্কায় থাকা পাকিস্তান ভারতের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল।
বাংলাদেশের ৮ উইকেটে ১২৭ রানের জবাবে ১১ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তান তুলল ৫ উইকেটে ১২৮ রান।
রোববার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশের সকালটা শুরু হয়েছিল বড় সুখবর দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের অঘটনে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশেরও কপাল খুলে যায়।
দুই জয় ও দুই হারের পর শেষ ম্যাচের আগে টিম টাইগার্সের সেমির রোডম্যাপ ছিল যদি-কিন্তুতে আটকে। তবে প্রোটিয়াদের হারে সমীকরণটা এমন দাঁড়ায় যে, পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই শেষ চারে চলে যাবে বাংলাদেশ।
তবে কার্যত নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। অ্যাডিলেডে সব বিভাগেই ব্যর্থ দল। সেই সঙ্গে সাকিবের বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত তো আছেই।
১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রত্যাশিত ছন্দে ব্যাট করলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর এবং মহম্মদ রিজওয়ান। যদিও প্রথম ওভারেই তাসকিনের বলে রিজওয়ানের দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলে দিলেন উইকেটরক্ষক নুরুল। তা না হলে পাকিস্তানকেও শুরুতেই চাপে ফেলতে পারত বাংলাদেশ।
লক্ষ্য কম থাকায় বেশি ঝুঁকি নেননি পাক ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম অর্ধে অর্থাৎ প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান করে। তাসকিন ছাড়াও কৃপণ বোলিং করলেন নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে কম রানের পুঁজি নিয়েও ভাল লড়াই করল বাংলাদেশ।
পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায় ১১তম ওভারে। ৩৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক বাবর। চেনা ছন্দে না থাকা পাক অধিনায়ক ছিলেন একটু বেশিই সাবধানী। মাত্র দুটি চার মারেন তিনি।
পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম। বাবর আউট হওয়ার পরের ওভারেই এবাদত হোসেনের বলে সাজঘরে ফিরলেন রিজ়ওয়ানও। পাক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ৩২ বলে ৩২ রান। দুটি চার এবং একটি ছয় মারলেন তিনি।
ব্যর্থ হলেন তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাওয়াজ (৪)। লিটনের অনবদ্য ফিল্ডিংয়ে রানআউট হলেন তিনি। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে টানলেন মহম্মদ হ্যারিস। ১৮ বলে ৩১ রান করলেন তিনি। মারলেন একটি চার এবং দুটি ছয়। তাকে সঙ্গ দিলেন শান মাসুদও। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
বাংলাদেশের নাসুম ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন সাকিব। বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারকেই মূল লক্ষ্য করেন পাক ব্যাটাররা। ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর।
এর আগে, শুরুতে টস জিতে দুবার ভাবেননি অধিনায়ক সাকিব। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন দুই ওপেনারই ছন্দে থাকায়। কিন্তু ভারতকে প্রায় হারিয়ে দেওয়া লিটন দাস অবশ্য বাবরদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেলেন না।
শুরুটা আগ্রাসী মেজাজে করেও ৮ বলে ১০ রান করে আউট হলেন শাহিন আফ্রিদির বলে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম একাদশে ফেরাল সৌম্য সরকারকেও। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন তিনি। দ্রুত প্রথম উইকেট হারানোর পর কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন নাজমুল এবং সৌম্য।
১৭ বলে ২০ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর নামেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাকে ফিরতে হল সাজঘরে। নাজমুল করেন ৪৮ বলে ৫৪ রান। নিজের ইনিংসটি সাজালেন সাতটি চারের সাহায্যে।
অধিনায়ক প্রথম বলেই বিতর্কিত ভাবে আউট হওয়ার পরেই মানসিক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ শিবির। এই ধাক্কায় ধস নামে তাদের ইনিংসে। মোসাদ্দেক হোসেন (৫), নুরুল হাসান (শূন্য), তাসকিন আহমেদরা (১) কেউই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। কিছুটা চেষ্টা করলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু উইকেটের অন্য প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে তার চেষ্টা ফলপ্রসূ হল না।
দুরন্ত বোলিং করলেন শাহিন। বাঁহাতি পেসার ২২ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট সাদাব খানের। ইফতিকার আহমেদ ১৫ রানে ১ উইকেট এবং হ্যারিস রউফ ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন।
হারিসকে ফেরালেন সাকিব
সামনে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নাসুমের হাতে। হারিস ফিরেছেন ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে।
রান আউটে নেওয়াজের বিদায়
সাকিবের বলে এক্সট্রা কাভারের দিকে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন নেওয়াজ। লিটন দাসের সরাসরি থ্রো স্টাম্পে আঘাত করার সময় ক্রিজের বাইরেই ছিলেন তিনি। রানআউটে শুধু উইকেট নয়, ২ রানও বাঁচাল বাংলাদেশ।
এবার রিজওয়ানকে ফেরালেন ইবাদত
অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁড়েছিলেন রিজওয়ান, পয়েন্টে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল। ৫ বলের মধ্যে ২ উইকেট পেল বাংলাদেশ। রিজওয়ান ফিরেছেন ৩২ বলে সমান রান করে।
বাবরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন নাসুম
অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন বাবর, তবে লিডিং এজে ক্যাচ গেছে শর্ট থার্ডে। সেখানে ভুল করেননি মোস্তাফিজুর রহমান। বাবর আজমের বাজে ফর্ম চলছেই। পাকিস্তান অধিনায়ক আজ ফিরেছেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে।
রিজওয়ানকে জীবন দিলেন সোহান
প্রথম ওভারেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন নুরুল হাসান সোহান। তাসকিন আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় কিপারের কাছে। নিদারুণ ব্যর্থতায় গ্লাভসে নিতে পারেননি সোহান। শূন্য রানে বেঁচে গিয়ে পরের বলে ছক্কা মারেন রিজওয়ান।
পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ভালো শুরু করেও পাকিস্তানকে বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ। সাকিবের বিতর্কিত আউটের পর কার্যত ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে টিম টাইগার্সের সংগ্রহ ১২৭ রান।
সোনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। তাই টসে জিতে দুবার ভাবলেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন দুই ওপেনারই ছন্দে থাকায়। বাংলাদেশ করল ৮ উইকেটে ১২৭ রান।
ভারতকে প্রায় হারিয়ে দেওয়া লিটন দাস অবশ্য বাবর আজমদের বিরুদ্ধে সাফল্য পেলেন না। শুরুটা আগ্রাসী মেজাজে করেও ৮ বলে ১০ রান করে আউট হলেন শাহিন আফ্রিদির বলে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। মারলেন একটি ছয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে ভাল ব্যাট করলেন অন্য ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম একাদশে ফেরাল সৌম্য সরকারকেও। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন তিনি। দ্রুত প্রথম উইকেট হারানোর পর কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন নাজমুল এবং সৌম্য।
দ্রুত রান তোলার থেকেও দলের ইনিংসকে স্থিরতা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ১৭ বলে ২০ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পর নামেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তাকে ফিরতে হল সাজঘরে। বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে পায়ে লাগলেও, তৃতীয় আম্পায়ার এলবিডব্লু দেন। মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ায় রিভিউ নেন সাকিব। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জানার পর ক্ষোভপ্রকাশ করেন সাকিব। মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না। আম্পায়ারদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরেন।
নাজমুল করেন ৪৮ বলে ৫৪ রান। নিজের ইনিংসটি সাজালেন সাতটি চারের সাহায্যে।
অধিনায়ক প্রথম বলেই বিতর্কিত ভাবে আউট হওয়ার পরেই মানসিক ধাক্কা খায় বাংলাদেশ শিবির। এই ধাক্কায় ধস নামে তাদের ইনিংসে। মোসাদ্দেক হোসেন (৫), নুরুল হাসান (শূন্য), তাসকিন আহমেদরা (১) কেউই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। কিছুটা চেষ্টা করলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু উইকেটের অন্য প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে তার চেষ্টা ফলপ্রসূ হল না।
দুরন্ত বোলিং করলেন শাহিন। বাঁহাতি পেসার ২২ রানে ৪ উইকেট নিলেন। ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট সাদাব খানের।
একই ওভারে মোসাদ্দেক-সোহানের বিদায়
তুলে মারতে গিয়েছিলেন নুরুল, তবে লেংথ ছিল না অমন। কাভারে ধরা পড়েছেন কোনো রান না করেই। ওভারে আফ্রিদির দ্বিতীয় আঘাত, পথ হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
আফ্রিদির রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা ফুললেংথের বল। মোসাদ্দেকের কাছে কোনো জবাবই ছিল না সেটির। ১০ বলে ৫ রান করে ফিরেছেন মোসাদ্দেক, বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে, ১০৭ রানে।
ফিফটির পর ফিরলেন শান্ত
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন নাজমুল, তবে ইফতিখারের লেংথ ছিল শর্ট। বলের নাগাল না পেয়ে বোল্ড হয়েছেন নাজমুল। ১৮ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল ফিরেছেন ৪৮ বলে ৫৪ রান করে।
পরপর ফিরলেন সৌম্য-সাকিব
সামনে এসে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। শাদাবের ফুললেংথের বলে বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লু দিয়েছেন আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। সেটিও বেশ খানিকটা সময় নিয়ে। সাকিব রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই। ফিরতেই হয়েছে তাঁকে। পরপর ২ বলে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সাদাবকে রিভার্স সুইপের অপশন বেছে নিয়েছিলেন সৌম্য, পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েছেন। ৫২ রানের জুটি ভেঙেছে তাতে, সৌম্য ফিরেছেন ১৭ বলে ২০ রান করে।
শুরুতেই ফিরলেন লিটন
শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন লিটন। সরাসরি ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের হাতে। লিটন ফিরে গেছেন ৮ বলে ১০ রান করে, ২১ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ রোববার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলাম, ইয়াসির আলি রাব্বি ও হাসান মাহমুদের জায়গায় সুযোগ দেয়া হয়েছে সৌম্য সরকার, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেনকে।
নেদারল্যান্ডসের কাছে সাউথ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি এখন পরিণত হয়েছে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে। যে জিতবে সেই চলে যাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের রোমাঞ্চকর শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিতে উঠে গেছে ভারত। অন্যদিকে, সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান-বাংলাদেশের লড়াই রূপ নিয়েছে কার্যত নকআউট ম্যাচে। যারা জিতবে তারাই উঠে যাবে সেমিতে।
চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে কাগজে-কলমে আশা টিকে ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে এবার সেমির পথ আরও সহজ হয়েছে দুই দলের জন্য। নিজেদের মুখোমুখিতে যারা জিতবে তারাই চলে যাবে শেষ চারে।
নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শুরু। সাউথ আফ্রিকা হোঁচটের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়। এরপর ভারতের বিপক্ষে ক্লোজ ম্যাচ।
সবটা যখন ভালই গেল তখন শেষটাও ভালর অপেক্ষায় টাইগাররা। আগের দিন পুরো দল ছিল কঠোর অনুশীলনে। সেখানে নেটেও দুইবার করে ব্যাট করে সবাই।
মুখোমুখি দেখায় স্পষ্ট আধিপত্য পাকিস্তানের। এর আগে খেলা ১৭ টি-টোয়েন্টিতে ১৫টিতে জিতেছে তারা। মাত্র ২টিতে জয় বাংলাদেশের। এবার অ্যাডিলেডে কি এশিয়ান জায়ান্টদের হারাতে পারবে লাল-সবুজ বাহিনী?
এই ম্যাচ দিয়ে চুক্তি শেষ হবে শ্রীরামের। টাইগারদের টি-টোয়েন্টি মানসিকতায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্য পূরণে সফলই বলতে হবে এই ভারতীয়কে।
এদিন অনুশীলন করেনি পাকিস্তানও। বাংলাদেশের মতো একই অবস্থানে তারাও। ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট দু-দলেরই। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করাটাই এখন টাইগারদের একমাত্র লক্ষ্য।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নেওয়াজ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।