প্রেম করে বিয়ে, মেহেদির রঙ না শুকাতেই নববধূর ভয়ঙ্কর পরিণতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই পরিচয়। একপর্যায়ে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। সময়ের আবর্তে তা গড়ায় বিয়েতে। আর বিয়ের চারদিনের মাথায় স্বামীর বাড়িতেই বরণ করতে হলো নববধূ বিথী আক্তারের (১৯) ভয়ঙ্কর পরিণতি।বুধবার সকালে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে ঐ নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।বিথী আক্তার উপজেলার দোহাকোলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহর স্ত্রী। তিনি যশোর পৌর শহরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনমাস আগে বিথী আক্তারের সঙ্গে
আব্দুল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে বিথী ১৫ এপ্রিল বাহাদুরপুর বাবার বাড়ি থেকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বের হয়ে বাঘারপাড়ায় আব্দুল্লাহর বাড়িতে চলে আসেন। বাবার বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে স্বামীর বাড়িতে গোপনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি পরিবারকে জানান বিথী আক্তার।তিনদিন
সংসার করার পর মঙ্গলবার রাতে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে স্বামীর সঙ্গে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে সাহরি খাওয়ার জন্য আব্দুল্লাহর মা ডাকাডাকি করলে আব্দুল্লাহ ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার স্ত্রী পাশে নাই। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখতে পান তাদের পার্শ্ববর্তী ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন বিথী। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।নববধূর চাচা বাবু অভিযোগ করে বলেন, বিথীকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে
রেখেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। বিথীর মরদেহ দেখলে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গলায় ফাঁস দিলে দাগ থাকবে, তার কোনো প্রমাণ নেই। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে।বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।