খুলনায় ভৈরব নদ থেকে চীনা প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ আগস্ট,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:২০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
খুলনায় ভৈরব নদ থেকে ওয়াং সিয়াও খুই (৪৪) নামে এক চীনা প্রকৌশলীর ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত প্রকৌশলী চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিক্যাল কম্পানিতে চাকরিরত ছিলেন। তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের ভেতরে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট নির্মীয়মাণ বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করতেন।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে খালিশপুরের চরেরহাট সংলগ্ন ভৈরব নদ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। উদ্ধার করা মৃতদেহে পুলিশ কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি।
সানডং সানলং সান হুই ইলেকট্রিক্যাল কম্পানির দোভাষী তুহিন মিয়া জানান, প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুই চুল কাটার উদ্দেশে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বের হয়ে নিখোঁজ হন। শুক্রবার সকালে তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হয়।
বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে না পেয়ে তিনি এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মোবাইল ট্রাকিংয়ে তার সর্বশেষ অবস্থান চরেরহাট ঘাট এলাকায় দেখা গেছে। শনিবার সকালে কম্পানির কয়েকজন একটি নৌকা ভাড়া করে ভৈরব নদে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ভৈরব নদের কিছুদূর যেতেই নদীতে একজনের লাশ ভাসছে দেখেন।
পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রকৌশলী ওয়াং সিয়াও খুই বলে চিহ্নিত হয়।
রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট সিসি পিপি প্রকল্পের সেফটি অফিসার ও দোভাষী মো. আল আমিন বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াং সিয়াও খুই প্রজেক্টের কাজে রয়েছেন। সাত মাস ধরে তিনি কাজ করছেন এখানে। তিনি খুব ভালো একজন মানুষ। তার সঙ্গে কোনো শ্রমিক ও সহকর্মীর খারাপ সম্পর্ক ছিল না।
কিন্তু এ ঘটনাটি বুঝতে পারছি না।’
খুলনা নৌ পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভৈরব নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় চীনা নাগরিক ওয়াং সিয়াও খুইয়ের লাশ উদ্ধার করি। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’
খালিশপুর থানার ওসি তদন্ত নিমাই মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন ভৈরব নদে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকাল পৌনে ১১টার দিকে খালিশপুর থানা ও নৌ পুলিশ ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে।
খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, চীনা নাগরিক একটি ইলেকট্রিক্যাল কম্পানিতে চাকরি করতেন। তাদের কম্পানি থেকে বের হওয়ার সুযোগ খুব কম ছিল। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে এখানে দোভাষীর মাধ্যমে তা আনা হতো। দোভাষীর তথ্য মতে, তিনি খুব শান্ত স্বভাবের ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। তবে এটি কোনো নিছক দুর্ঘটনা নাকি কেউ এর সঙ্গে জড়িত আছে, বিষয়টি এখনই বলা যাচ্ছে না। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।