avertisements 2

মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক স্কুল শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রিসিলা সাইটিয়েনি মারা গেছেন। কেনিয়ার এই নারীর বয়স ছিল ৯৯ বছর। তার নাতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রিসিলা সাইটিয়েনির নাতি স্যামি চেপসির জানিয়েছেন, বুধবার (১৬ নভেম্বর) প্রিসিলা বুকের ব্যাথাজনিত জটিলতায় মারা যান। যাইহোক, তিনি সুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর তিন দিন আগে পর্যন্ত ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন।

বুকে ব্যথার কারণে গত কয়েকদিন স্কুলে যেতে পারেননি। নারী শিক্ষায় অবদান রাখা প্রিসিলার অর্জনের অনুপ্রেরণায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হয় এবং তা ইউনেস্কোর প্রশংসা পায়। স্থানীয়রা তাকে আদর করে 'গোগো' বলে ডাকে। স্থানীয় কালেঞ্জিন ভাষায় যার অর্থ 'দাদি'। চেপসি জানান, তারা তার শতায়ু জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি তাদের সবাইকে গর্বিত করেছিলেন।

ইউনেস্কোর মতে, প্রিসিলা সিতেয়েনি ৯৪ বছর বয়সে কেনিয়ার রিফ্ট ভ্যালিতে গ্রামের স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজি করিয়ে স্কুলে ভর্তি হন।এই ঘটনার পর, তিনি তার সম্প্রদায় এবং বহির্বিশ্বে আদর্শ হিসাবে প্রশংসিত হন।

জাতিসংঘের সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিসিলা জানান, কেনিয়ার অল্প বয়সী মায়েরা সন্তান জন্মদানের পর সামাজিক লোকলজ্জা বা কলঙ্কের ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তিনি চেয়েছিলেন যাতে তারা স্কুলে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়। শিক্ষা আপনার ভবিষ্যৎ। শিক্ষা চিরকাল আপনার মাথায় থাকে এবং একবার এটি পেলে আপনি তা হারাবেন না। 

 তার অনুপ্রেরণায় 'গোগো' নামের ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হলে গত বছর প্রথমবারের মতো তিনি বিমানে করে ফ্রান্সে গিয়ে ফার্স্ট লেডি ব্রিজিৎ ম্যাক্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সিনেমাটির কো-রাইটার প্যাট্রিক পেসিস বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক টুইটার পোস্টে জানান, 'নারীশিক্ষা বিষয়ে প্রিসিলার বার্তা অমর হয়ে থাকবে।'

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2