রাতের কাতার যেনো স্বপ্নের শহর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
শেষ হচ্ছে অপেক্ষার পালা। আর একদিন পর কাতারে মরুর বুকে পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের। স্থানীয় থেকে শুরু করে কাতারের অভিবাসী, সবাই অপেক্ষায় আছে বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ সবাই।
প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে মরুর বুকে ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক শহরক্রেন্দ্রিক পুরো বিশ্বকাপ আসর। ২০১০-এ আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি কাতার। দর্শনীয় সব স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনে খরচ করেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। তারই প্রতিফলন দেখার অপেক্ষা এখন কিছু সময়ের।
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতার সেজেছে নতুন সাজে। রাত হলেই আলোসজ্জার ঝলকানিতে জুড়িয়ে যায় চোখ। যেন স্বপ্নের কোনো শহর। বিশ্বকাপের আমেজে নতুন রঙে সাজা কাতারের এ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ স্থানীয় থেকে শুরু করে অভিবাসীরা।
কাতারে বিশ্বকাপের খেলা দেখতে আসা এক সমর্থক বলেন, 'অনেক রোমাঞ্চকর লাগছে। সত্যি কথা বলতে, দারুণ এক অনুভূতি কাজ করছে। সবাই উন্মুখ হয়ে আছে বিশ্বকাপ শুরুর অপেক্ষায়। কাতার একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু গড়েছে। যে কেউ কাতারের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। আমি সবাইকে বলব কাতারে আসুন বিশ্বকাপ দেখতে।’
উরুগুয়ের এক সমর্থক বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছি বিশ্বকাপের জন্য। কাতারে আমি নয় বছর ধরে আছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না, বিশ্বকাপ চলে এসেছে। কাতার ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশ্বকাপে আমি উরুগুয়েকে সাপোর্ট করছি।'
দীর্ঘদিন পর দোহায় এসে এক সমর্থক বলেন, 'আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দোহা ছয় বছর আগে এমন ছিল না। এখানে অনেক নির্মাণকাজ হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে অনেক। আমি অধীর অপেক্ষায় কাতারে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আসার। এক মাস ধরে অনেক মজা করব আমরা সবাই।'
বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির পর্যটক আসবেন কাতারে। এই এক মাস খেলা উপভোগের পাশাপাশি উপভোগ করবেন কাতারের সৌন্দর্য। থাকবে সব রকম সুযোগ-সুবিধাও। কিন্তু এর মাঝেও থাকবে কিছু বিধিনিষেধ। কাতার যেহেতু একটি মুসলিম দেশ, তাই সেসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে পর্যটকদের।