বিস্ফোরণে আংশিক ধসে পড়েছে রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী একমাত্র সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেতুটির একটি অংশ ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার সকালে সেতুর গাড়ি চলাচলকারী লেনে একটি ট্রাকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেতুতে থাকা একটি তেলবাহী ট্রেনের সাতটি ট্যাংকারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ধসে পড়ে গাড়ি চলার দুটি লেনও। এরপর থেকে সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুর রেলওয়ে অংশ সন্ধ্যায় আবার খুলবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সেতুর নাম ‘কার্চ ব্রিজ’।
রাশিয়ান তদন্তকারীরা বলেছেন, বিস্ফোরণের সময় কাছাকাছি একটি গাড়িতে ছিলেন ওই তিন ব্যক্তি, যারা নিহত হয়েছেন। সেতুতে বিস্ফোরণের পর এর একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে সেতুতে আগুন জ্বলতে এবং কিছু অংশ পানির মধ্যে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। সেতুর ধ্বংস হওয়া অংশের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াকও।
বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে মস্কোও। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। তবে এই বিস্ফোরণের জন্য এখনো কিয়েভের ওপর দায় চাপায়নি মস্কো।
এদিকে সেতুতে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেনের দিকে আঙুল তুলেছেন ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নিযুক্ত এক কর্মকর্তা। খেরসনের রুশপন্থী এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেতুটি মেরামত করতে দুই মাস সময় লাগতে পারে। আর রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিস্ফোরণের পর কিয়েভের প্রতিক্রিয়া তাদের ‘সন্ত্রাসী চরিত্রই’ তুলে ধরেছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ ঘোষণা করে রাশিয়া। পরে একটি গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য এই সেতু তৈরি করা হয়। ২০১৮ সালে সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের কাছে সামরিক রসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে এই সেতু ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্রিমিয়ার এই সেতুটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর জন্য একটি মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হয়। এই সেতুটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে।