পাকিস্তানে মৌসুমী বৃষ্টিপাতে ৩৫৭ জনের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০২ এএম, ২০ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫

মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৩৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। গত পাঁচ সপ্তাহে পাকিস্তানজুড়ে বৃষ্টি-সম্পর্কিত নানা ঘটনায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (এনডিএমএ) জানায়, পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানে ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় কমপক্ষে ৩৫৭ জন নিহত ও ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
এনডিএমএর বরাতে চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানে বৃষ্টিপাত, ঝড় অব্যাহত রয়েছে এবং এই দুর্যোগে বাড়িঘর, রাস্তা, সেতু ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরও ক্ষতি হয়েছে।
এনডিএমএর বলছে, ভারী বর্ষণে ২৩ হাজার ৭৯২টি বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারো মানুষ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, আমাদের দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। আপাতত আকস্মিক বন্যার সংকট মোকাবেলায় কাজ করা হচ্ছে।
চলমান বন্যায় পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রদেশে এখন পর্যন্ত ১০৬ জন মারা গেছেন। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশ। এই প্রদেশে মারা গেছেন ৯০ জন। পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে ৭৬ জন, উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৭০ জন ও দেশের অন্যান্য অংশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লোকজনকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে আধাসামরিক বাহিনী ডেকেছে শহর কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টিতে পাকিস্তানের অনেক শহরের রাস্তাঘাট ডুবে যায়। পাকিস্তানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুম। ২০১০ সালে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়। সে সময় বন্যার কারণে দেশটির দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্লাবিত হয় দেশটির এক–পঞ্চমাংশ ফসলি জমি।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

বিবিসির প্রতিবেদনে এবার উঠে এলো আয়নাঘরের ভয়াবহ চিত্র

৩৬টি হামলায় শুধু নারী-শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের মঙ্গল ভারতের চেয়ে বেশি অন্য কেউ কামনা করে না: জয়শঙ্কর
