avertisements 2

ইউক্রেনের পর কী তাইওয়ান?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ২০ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫

Text

রাশিয়া ইউক্রেনে ভোরবেলা হামলা চালানোর ঠিক একদিন আগে, চীনে রাশিয়ার মিত্ররাও তা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। চীনা কর্মকর্তারা রাশিয়ান আগ্রাসনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার পরিবর্তে তারা এ বিষয়ে জোর দেন যে, চীনের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলাদা ও স্বতন্ত্র।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বুধবার বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “তাইওয়ান ইউক্রেন নয়। তাইওয়ান বরাবরই চীনের অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। যা নিয়ে কোন আইনি বিতর্ক নেই এবং যা ঐতিহাসিকভাবে সত্য”। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে এডাম টেইলরের এক বিশ্লেষণে বলা হয়ঃ

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ মাসের শুরুতে পুনর্ব্যক্ত করেন যে তার দেশ চীনের “এক-চীন নীতি” কে সমর্থন করে এবং স্বাধীন তাইওয়ানের বিরোধিতা করে। পুতিন যখন একথা বলছিলেন তখন রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল।

কিন্তু তিনি তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে নীরব ছিলেন।

তাইওয়ানে চীনা সামরিক আগ্রাসনের হুমকি কমিয়ে দিয়ে অক্টোবরে মস্কোতে সাংবাদিকদের পুতিন পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন যে, অভিন্ন স্বার্থ দ্বীপ (তাইওয়ান) এবং মূল ভূখণ্ডকে (চীন) একত্রিত হতে বাধ্য করবে। পুতিন তখন বলেছিলেন, “আমার মতে, চীনের শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন নেই”।

উল্লেখ্য, চীনের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন তাইওয়ান মূলত দক্ষিণ চীন সাগরের একটি দ্বীপ।

ইতিহাস থেকে ভূগোল এ সবকিছু বাদ দিলেও ওয়াশিংটনে সব ধরনের বিতর্কের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন এবং চীন-তাইওয়ানের পরিস্থিতির মধ্যে পার্থক্যগুলো উল্লেখযোগ্য৷ যদিও পশ্চিমা চাপ রাশিয়া এবং চীনকে একত্রিত হতে সাহায্য করেছে, কিন্তু পুতিন বা শি জিন পিং কাউকেই অন্যের ‘পোষা প্রকল্পে’র জন্য ঝামেলায় জড়াতে বিশেষভাবে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না। সুত্র: মানবজমিন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2