avertisements 2

নদী শুকিয়ে উঠে এলো গ্রাম

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:০৭ পিএম, ৪ মার্চ,সোমবার,২০২৪

Text

লিমিয়া নদীতে বাঁধ দেয়া হয়েছিল তিন দশক আগে। দীর্ঘ খরায় নদীর পানি গেছে শুকিয়ে। আর তাতেই বেরিয়ে এসেছে হারিয়ে যাওয়া এক গ্রাম। স্পেন-পর্তুগাল সীমান্তের কাছে লিমিয়া নদীতে হঠাৎ ভেসে উঠেছে এই বাড়ির ছাদ। অথচ কিছু দিন আগেও এখানে ছিল অথৈ পানি।

ভৌতিক গ্রাম
স্পেন-পর্তুগাল সীমান্তের কাছে কনচেলো ডি লোবিওস অঞ্চলে লিমিয়া নদীতে বাঁধ তৈরি হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। বেশ কয়েক বছর সেই এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে জেগে উঠছে নদীর অতলে ঘুমিয়ে থাকা এক গ্রাম। প্রাচীন কালে গ্রামটির নাম ছিল আচেরেদো। তবে এখন কাদামাখা বাড়িঘর দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে এটি যেন ভৌতিক গ্রাম।

নদী ফুঁড়ে গাছ
আচেরেদো গ্রামের গাছ কত বছর পানির নিচে লুকিয়ে ছিল কে জানে। খরার কারণে পানি কমে যাওয়ায় এটিও হঠাৎ বেরিয়ে এসেছে।

গ্রামের মাঝে জলাধার
১৯৯২ সালে বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল পুরো এলাকা। তখনই বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল আলটো লিন্ডোজো নামের বিশাল এক জলাধার। এখন ভেসে উঠছে বাড়ি-ঘর, মাত্র ১৫ ভাগ পানি নিয়ে জলাধারটিকেও দেখে মনে হচ্ছে যেন ছোট্ট এক পুকুর।

নতুন বছরে নতুন রূপে
লোবিওস কাউন্সিলের মেয়র মনে করেন, গত কয়েক মাস, বিশেষ করে জানুয়ারিতে দেখা দেয়া ভয়াবহ খরার কারণেই শুকিয়ে গেছে লিমিয়া নদীর পানি, আর পানি হঠাৎ কমে যাওয়াতেই ভেসে উঠেছে প্রাচীন গ্রামটি।

পানি ব্যবহার বন্ধ
খরার কারণে লিমিয়া নদীর এখন এমন অবস্থা যে পর্তুগাল সরকার গত ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশে বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং চাষাবাদে সেচ অব্যাহত রাখতে এখন যেন কেউ আলটো লিনডোসোসহ ছয়টি বাঁধের পানি ব্যবহার না করেন।

প্রাচীন গ্রামের রেস্তোরাঁ
ড্রোন থেকে তোলা একটি ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এখানে হয়ত একটা রেস্তোরাঁ ছিল। ঘরে বিয়ারের খালি বোতল ভর্তি ক্রেট আর ঘরের বাইরে পুরোনো একটা গাড়ি দেখা যায়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2