avertisements 2

তিন দিকেই রুশ সৈন্য, শিগগিরই ইউক্রেনে হামলা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

দক্ষিণ থেকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া ভূখণ্ড, পূর্ব দিকে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের সীমান্ত ও উত্তরে রুশ মিত্র বেলারুশে সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তিন দিক থেকেই রাশিয়ার লক্ষাধিক সৈন্যের এই সমাবেশের ফলে অনেকেই শঙ্কা করছেন, শিগগিরই রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনে হামলা চালাবে। তবে ঠিক কবে হামলা হবে এই নিয়ে বিভক্ত মত পাওয়া যাচ্ছে।

কেউ বলছেন, চীনে শীতকালীন অলিম্পিক্স শেষ হলেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে। আবার অন্য একটি অংশের মতে, ১৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের মস্কো সফর শেষ হলেই বাজবে যুদ্ধের ডঙ্কা। হামলার সময়-কাল নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও যুদ্ধ যে অবশ্যম্ভাবী তা অবশ্য পশ্চিমী বিশ্বের প্রায় সকলেই মনে করছে। 

তবে খোদ ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উত্তেজনা না দেখে বিভ্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। শনিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টেলিফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে। কিন্তু কোনো ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি দুই নেতা।

পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, ফোনে বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া সংযম না দেখালে ফল হবে তাদের ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক। যদিও ক্রেমলিন বরাবরেই মতোই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ফোনালাপকে ঔপচারিকতা হিসেবেই বর্ণনা করেছে। আমেরিকার ‘হুমকি’কেও পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না মস্কো।

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আক্রমণ আসবে কোন পথ ধরে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাশিয়ার লক্ষাধিক সৈন্য তিন দিক দিয়ে ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে। দক্ষিণে জবরদস্তি করে অধিকৃত ক্রাইমিয়া, রাশিয়ার দিকে দুই দেশের সীমান্ত বরাবর এবং উত্তরে বেলারুশের দিক থেকে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশ সম্পূর্ণ। এই তিন দিকের মধ্যে কোন অংশ দিয়ে মস্কো হামলা শুরু করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে চরম উত্তেজিত হলেও, সেই উত্তেজনার রেশ নেই কিয়েভে। উল্টে জনগণকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিচ্ছে ইউক্রেন সরকার। কিয়েভের মেয়রের কার্যালয় জানিয়েছে, রাজধানীর ৩০ লাখ বাসিন্দাকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তারা প্রস্তুত আছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাশিয়া মূলত ইউক্রেনের যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটে যোগদানের আশঙ্কা থেকে দেশটিতে হামলা করতে পারে।

তারা বলছেন, পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে মস্কো নিশ্চয়তা চায়, যে পূর্ব ইউরোপ থেকে তারা ন্যাটোর বাহিনীকে সরিয়ে নেবে এবং ইউক্রেনে ন্যাটো বাহিনীর প্রবেশের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ মস্কো মনে করে, পশ্চিমী দুনিয়া আসলে রাশিয়া সীমান্তে ন্যাটোকে মোতায়েন করে পরোক্ষে রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে চায়।

ওয়াশিংটন রাশিয়ার এই দাবি সরাসরি খারিজ করলেও, তারা আলোচনার পথ থেকে সরতে চায় না। এমনকি এ নিয়ে ক্রেমলিনে আলোচনা করতে চেয়ে বার্তাও গিয়েছে। যদিও সেই আলোচনা এখনও গতি পায়নি। ফলে ইউক্রেনকে পদানত করে পাল্টা বার্তা দেওয়ার কথাই এখন ভাবছে মস্কো। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে তিন দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে রাশিয়া।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2