৫০ শতাংশ উট মরছে প্লাস্টিক খেয়ে!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে জানা গেছে, দেশটিতে উটের মৃত্যুর ৫০ শতাংশ ঘটছে প্লাস্টিকের ব্যাগসহ নানা ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য খাওয়ার কারণে। গত সোমবার দুবাইয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। খবর এপির।
পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি চালুর প্রেক্ষিতে দেশটি এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ১ জুলাই থেকে একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
গত বছর এক গবেষণায় দেখা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত এক দশকে প্লাস্টিক গ্রহণের কারণে শত শত উট মারা গেছে। দুবাইয়ের সেন্ট্রাল ভেটেরিনারি রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষণায় জানা গেছে, প্রচুর উটের মৃত্যু হয় পাকস্থলীতে প্লাস্টিকের তৈরি অপাচ্য পদার্থের আধিক্যের কারণে। মানুষের ফেলে দেয়া প্লাস্টিক বর্জ্য খাওয়ার কারণে এ সমস্যায় পড়ে উটগুলো। সাধারণত প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি পচে যেতে প্রায় ৪০০ বছর এবং পরিবেশের ওপর তাদের প্রভাব কমাতে হাজার হাজার বছর সময় লাগে।
দুবাইয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল আরও জানায়, উটের পাশাপাশি রেকর্ড সংখ্যক কচ্ছপ (প্রায় ৮৬ শতাংশ) মারা গেছে প্লাস্টিক সামগ্রী খেয়ে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এগুলোকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে সমুদ্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফাদি ইয়াঘমোর বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, প্লাস্টিক খাওয়ার কারণে কচ্ছপের অন্ত্র আটকে যায়। এর ফলে অপুষ্টি বা অনাহারের কবলে পড়ে কয়েকদিনের মধ্যেই মারা যায় ওই কচ্ছপ। ২০০টি কচ্ছপ নিয়ে গবেষণার পর তিনি ও তার গবেষক দল এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ইস্যুতে ইয়াঘমোর এবং তার গবেষক দল সামুদ্রিক দূষণ বিষয়ক এক বুলেটিনে একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, সমস্ত মৃত সবুজ কচ্ছপের ৭৫ শতাংশ এবং লগারহেড কচ্ছপের ৫৭ শতাংশই প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতলের ক্যাপসহ সামুদ্রিক নানা ধরনের বর্জ্য খেয়েছিল। পরে এগুলোই তাদের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল।