মুসলিম দেশগুলোর স্বীকৃতি চাইলেন আফগান প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১০ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর কাছে স্বীকৃতির আহ্বান জানিয়েছেন। তালেবান গত আগস্টে দেশের ক্ষমতা দখলের পর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে প্রথমবারের মতো এ ধরনের আহ্বান জানাল।
রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ বলেন, ‘আমি মুসলিম দেশগুলোকে এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, তারপর আমরা খুব দ্রুত উন্নতি করতে পারব। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের জন্য এটি চাই না, জনগণের জন্য চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তালেবান শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারের সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে।’
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত বছরের মধ্য আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। তাদের নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পশ্চিমা গোষ্ঠীসহ আন্তর্জাতিক মহল সহায়তা বন্ধ রাখে। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কয়েক শ কোটি ডলার অর্থসম্পদ জব্দ করে। বিদেশি সাহায্যনির্ভর আফগানিস্তান এর পর থেকে ধীরে ধীরে মানবিক সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তালেবান গোষ্ঠী তাদের আগের মেয়াদে কট্টর ইসলামপন্থা বাস্তবায়ন করেছিল। তাই তালেবান সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে চাইছে বহির্বিশ্ব। কারণ তালেবান সরকারে নারীর অংশগ্রহণ না রাখার পাশাপাশি নারীদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করার কারণে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তালেবান গোষ্ঠী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শরিয়া আইনের কঠোর অনুশাসন আগের তুলনায় শিথিল করা হবে।
তালেবানের পুনরুত্থানের আগে গত দুই দশক ধরে আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট সরকার বৈদেশিক সহায়তানির্ভর ছিল। এখন আফগানিস্তানে কর্মসংস্থানের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে সরকারি কর্মচারীরা কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আফগানিস্তানের পাঁচ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছে। সংখ্যাটি চলতি বছরে বেড়ে ৯ লাখে দাঁড়াবে। এর মধ্যে নারীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানের অনেক এলাকায় খরা দেখা দেওয়ায় কৃষি উৎপাদন থমকে গেছে। এতে দেশটির তিন কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই খাদ্যঘাটতির মুখে রয়েছে।