ভেড়ার ছানার মায়ের দায়িত্বে তুর্কি কুকুর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৩ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ছাগলছানার পর এবার ভেড়ার ছানার মায়ের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে এক কুকুরকে। মধ্য তুরস্কের একটি খামারে এ দৃশ্য দেখা গেছে। খবর আনাদোলুর। ভেড়ার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে কুকুর
জানা গেছে, ভেড়ার ছানাটির মা থাকার পরও সেটি বাচ্চার দুধের চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না। ফলে ওই নবজাতক বাচ্চাটি নিজের প্রয়োজনেই কুকুরটির দুধ পান করতে শুরু করে। আর কাঙ্গাল নামের ওই বিখ্যাত তুর্কি জাতের কুকুরটিও কোনো সঙ্কোচ ছাড়াই তাকে দুধ পান করাতে থাকে।
মধ্য তুরস্কের সিভাস প্রদেশের কায়াদিবি গ্রামের একটি পশু খামারে এই প্রজাতির কুকুর লালন-পালন করা হয়। সেই সাথে খামারে ভেড়াও রয়েছে। খামারটির মালিক জাবিত বেকতাস বলেন, যদিও ভেড়ার একটি মা ছিল, কিন্তু সে বাচ্চার দুধ খাওয়ানোর চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না। এ অবস্থায় বাচ্চাটি কুকুরটির দুধ খেতে শুরু করে। তুর্কি কাঙ্গাল প্রজাতির কুকুর
তিনি বলেন, কাঙ্গাল জাতের কুকুরটি ভেড়ার বাচ্চাটিকে তাড়িয়ে দেয়নি। এই ধরনের কুকুরগুলোর মধ্যে এমনিতেই অন্যদের রক্ষা করার এবং অন্যকে সাহায্য করার প্রবৃত্তি রয়েছে। আবার তার দেহে যে পরিমাণ দুধ উৎপন্ন হয়, সেটি তার বাচ্চা এবং এই ভেড়ার বাচ্চা উভয়ের জন্যই যথেষ্ট।
জাবিত বেকতাস আরো জানান, কাঙ্গাল প্রজাতির কুকুর সম্ভবত তুর্কি কুকুরের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। বিশাল আকারের জন্য তারা ‘আনাতোলিয়ান সিংহ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দ্রুত তৎপরতা, বুদ্ধিমত্তা, আনুগত্য ও সাহসের জন্য কুকুরের মধ্যে তাদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রক্ষক কুকুর হিসেবে পরিচিত এ জাতের কুকুর শিকার করা প্রাণীদের ক্ষতি করা ছাড়াই যে কোনো আক্রমণকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করে পশুর পালকে রক্ষা করতে পারে। ফলে বিশ্বজুড়ে পশুপালকদের অন্যতম প্রধান পছন্দ কাঙ্গাল জাতের কুকুর।
জানা গেছে, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক থেরাপির জন্যও এ জাতের কুকুর ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে যারা অটিজমে আক্রান্ত এবং যাদেরকে মাদকাসক্তি থেকে পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে, তাদের থেরাপিতে এ কুকুর ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, ৬ হাজার বছরেরও বেশি আগে থেকে চলে আসা এ প্রজাতির কুকুর তুরস্কের কঠোর শীত এবং রাখালদের যাযাবর জীবনধারা সহ্য করতেও সক্ষম।