সীমান্ত পেরোলেই চীনকে গুলির হুমকি ভারতের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চলতি বছরের মে মাস থেকে লাদাখে চীন-ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে দফায় দফায় বৈঠকেও কেনও সমাধান আসেনি। এর মধ্যে দুই পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। অবশ্য কাউকে নিশানা করা হয়নি। গুলি ছোড়া হয়েছিল শূন্যেই। তবে এবার দিল্লির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চীনা সেনারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঢুকে পড়লে তক্ষণাৎ গুলি চালানো হবে।
গত জুনে গালওয়ান উপত্যকায়য় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। এরপর দীর্ঘ ৪৫ বছরে ২৯-৩০ আগস্ট চীন-ভারত সীমান্তে প্রথম গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে এ নিয়ে কয়েক দফায় দুই দেশ নিজ নিজ শক্তি জানান দিতে শূন্যে গুলি ছুড়েছে।
সম্প্রতি ভারত ও চীনের কমান্ডারদের মধ্যকার ষষ্ঠ রাউন্ড বৈঠকে দুই দেশের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লাদাখের ফ্রন্টলাইনে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো থেকে দু-পক্ষই বিরত থাকবে। ২৫ সেপ্টেম্বর চীনের মালদোয় পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে বৈঠকে ভারতের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়, পূর্ব লাদাখের সমস্ত অঞ্চল থেকে আগে চীনা সেনা সরাতে হবে।
তবে সেটাও নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গা থেকে নয়। দাসপাং সমভূমি থেকে প্যাংগংয়ের দক্ষিণাঞ্চল- সমস্ত জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ভারতের এই প্রস্তাব মানতে রাজি নয় চীন। তাদের দাবি, পূর্ব লাদাখ থেকে চীনা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার আগে ভারতকে প্যাংগং লেকের দক্ষিণের পাহাড়ের চুড়া থেকে সেনা সরাতে হবে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যগুলোতে বলা হয়েছে, ভারত চীনকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ‘তাদের সেনা যদি আমাদের পজিশনে ঢুকে পড়ে, ভারতীয় সেনার আত্মরক্ষায়, নিজেদের পজিশন সুরক্ষিত রাখতে তক্ষণাৎ গুলি চালাবে।’
এদিকে সরকারি সূত্রের বরাতে আরেক প্রতিবেদন বলছে, চীনকে বারবার বলা হয়েছে যে এলএসি লাগোয়া অঞ্চল থেকে পিএলএ’কে সরিয়ে নিতে। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে বেইজিং। এলএসি থেকে সেনা সরাচ্ছে না। এই উত্তেজনার আবহে ভারতের বিমানবাহিনী সর্বক্ষণ সতর্ক রয়েছে।