তালেবান যে কারণে ১৫ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের তালিকা চাইল
তালেবান যে কারণে ১৫ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের তালিকা চাইল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তান জুড়ে শুরু হয়েছে যুদ্ধের ডামাডোল। দেশটির ৮০ শতাংশ এলাকা নিজেদের দখলে বলে দাবি করছে তালেবান। রাজধানী কাবুল যেকোনো সময় তালেবানের দখলে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আফগানিস্তানের ১১৬টি জেলা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে কাবুল সরকার।
সম্প্রতি ১৫ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের তালিকা চেয়ে দখলে থাকা শহরগুলোর ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে একটি নির্দেশনা জারি করেছে তালেবান সাংস্কৃতিক কমিশন।
তালেবান যোদ্ধাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী চেয়ে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পাত্রীদের বয়স ১৫ বছরের বেশি হতে হবে। বিধবা নারী হলে বয়স ৪৫ বছরের নীচে হতে হবে। এসব মেয়েদের বিয়ে করে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে সবাইকে মুসলিম ধর্ম নিতে হবে।
এর আগে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে নারীরা বাড়ি থেকে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া একা বের হতে পারবেন না আর পুরুষদেরও লম্বা দাড়ি রাখতেই হবে বলে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে তাকহার প্রদেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালেবান।এমনকি নারীদের বিয়ের জন্য পণ প্রথাও ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিল সংগঠনটি।
এসব ঘটনা আফগানিস্তানে ৯০ দশকের তালেবান শাসন ব্যবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় চুরির জন্য হাত কেটে দেওয়া হতো, পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হতো, এমনকি নারীদের ওপর ছিল নানা রকম বিধিনিষেধ।
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন হওয়ার আগে এসব আইন জারি করেছিল তালেবান। তখন দেশটিতে নারীদের চাকরি তো দূরের কথা, কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া বাইরে বের হওয়াও নিষেধ ছিল। এমনকি এই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তিও ভোগ করতে হতো।