avertisements 2

মার্কিন বাহিনীর  বিদায়ে নতুন যুদ্ধের ঝুঁকিতে আফগানিস্তান!

মার্কিন বাহিনীর  বিদায়ে নতুন যুদ্ধের ঝুঁকিতে আফগানিস্তান!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কেন্দ্র ছিল বিশাল বাগরাম বিমান ঘাঁটি। সেই ঘাঁটি থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের বিদায়ের মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছে দীর্ঘ এক অধ্যায়ের। এই ঘাঁটি খালি করে সেনাদের চলে যাওয়া আফগানিস্তানে বাজিয়েছে গৃহযুদ্ধের দামামা।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার পর সেই বছর ডিসেম্বরেই আফগানিস্তানে যায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী। শুরু হয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, যে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে মূল্য দিতে হয়েছে। বাগরাম বিমান ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের এই চড়া মূল্যের আফগান অভিযানেরই প্রতীক। তালেবানের সঙ্গে হওয়া শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে বিমান ঘাঁটিটি খালি করে দেওয়া হয়েছে।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েত যুগে মস্কোর বানানো বাগরাম ঘাঁটি রাজধানী কাবুলের ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেতৃত্বাধীন বাহিনী এখান থেকেই তালেবান ও অন্য ইসলামপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর ওপর বেশিরভাগ বিমান হামলা চালাতো। ১০ হাজার পর্যন্ত সেনা ধারণক্ষম ছিল এ ঘাঁটি। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের কমান্ড স্থাপিত হয়েছিল এ বিমানঘাঁটিতে। এর দুটি রানওয়েতে আছে ১১০টি বিমান রাখার জায়গা।

আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করার সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়েছে আগামী ১১ সেপ্টম্বরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ২০তম বর্ষপূর্তির দিনে। তার আগে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বেশির ভাগ সেনা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাগরাম বিমানঘাঁটি খালি হলো তারও আগে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে তালেবানের দাপট বাড়তে থাকার মধ্যে রাজধানী কাবুলের কাছের গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানঘাঁটি খালি হয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগের।

আফগানিস্তানে আগামী দিনগুলোতে এই ঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই ঘোঁট পাকিয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। তালেবান ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ঘাঁটিটি। কারণ, বাগরাম একসময় ছিল সোভিয়েত বাহিনীর ঘাঁটি। মার্কিন সামরিক শক্তিরও প্রতীক এটি। আর কেবল প্রতীক হিসেবেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও ঘাঁটিটির গুরুত্ব কম না। তাই তালেবানের চোখ থাকবে এই ঘাঁটির দিকে। আবার আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এখন ঘাঁটিটি হাতে পাওয়ার পর এর নিরাপত্তা রক্ষায় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তত্পর হবে।

আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুরক্ষায় প্রায় ৬৫০ মার্কিন সেনাও রেখে দেওয়া হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষায় থাকছে তুরস্কের সেনারাও। কিন্তু সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাবুলের সুরক্ষা এবং তালেবানকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারাটাই আফগান সরকারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2