আল-কায়েদা নেতার সন্ধান দিলে ৩৪ কোটি টাকা পুরস্কার
আল-কায়েদা নেতার সন্ধান দিলে ৩৪ কোটি টাকা পুরস্কার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আল-কায়েদার এক নেতার সন্ধান চেয়ে পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি আল-কায়েদার সিনিয়র এই নেতা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলায় উৎসাহিত করছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-কায়েদা নেতা ইব্রাহিম আহমেদ মাহমুদ আল কোসির সন্ধান কিংবা তাকে শনাক্ত করে দিতে পারলে ৪ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৪ কোটি টাকা।
আল-আরাবিয়া নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আল কোসি বর্তমান আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে আল কায়েদা আমিরের সহায়তায় একটি টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০১৫ সাল সাল থেকে তিনি আরবীয় উপসাগরীয় অঞ্চলে আল-কায়েদা বাহিনীতে সদস্য নিয়োগের কাজ করছেন। এছাড়া তিনি অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে লোন উলফ ( আত্মঘাতী হামলা) আক্রমণে উৎসাহিত করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহমেদ মাহমুদ আল কোসি আরবীয় উপসাগরে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছেন। তিনি আল-কায়েদা নেতা উসামা বিন লাদেনের সরাসরি নেতৃত্বে আল-কায়েদার হয়ে বিগত কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন।
২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন কমান্ডো অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে আল-কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত মাসে জাতিসংঘের অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশনস মনিটরিং টিম তাদের ১২তম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-কায়েদার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান করছে। এই দলে জাওয়াহিরিও আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল-কায়েদা নেতা আল কোসির অনুসন্ধান চাওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আল-কায়েদা নেতা কোসিকে গুয়ানতানামো-বে কারাগারে স্থানান্তরিত করার পূর্বে ২০০১ সালে পাকিস্তান থেকে আটক করা হয়। আল-কায়েদার সঙ্গে যোগসাজশে হামলার ছক কষার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক আদালতে ২০১০ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। বিচার পূর্ব-চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি মুক্তি পান এবং ২০১২ সালে সুদানে ফেরেন।
যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদা নেতাদের ধরতে বিভিন্ন সময় পুরস্কার ঘোষণা করে থাকে। এই পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকে ৩ মিলিয়ন ডলার থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। এর আগে ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। তার অবস্থানগত তথ্য সরবরাহের জন্য ১০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ পুরস্কারের প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির খবরে বলা হয়, উসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেনকে অল্প বয়স থেকেই, সামরিক পোশাক পরা আর হাতে আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল পরিচালনা করতে দেখা গেছে। ২০০৫ সালে আল-কায়েদার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আক্রমণে অংশগ্রহণকারী জঙ্গিদের মাঝে লাদেনের ছেলেও উপস্থিত ছিলেন। তখন হামজার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। হামজার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন থেকেই তিনি আল-কায়েদার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশ নেন।