নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা নয়: ইরান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জুন,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান পরমাণু আলোচক সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আমেরিকাকে তার দেশের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা একবারে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শনিবার ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের ষষ্ঠ দফা আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
আরাকচি বলেন, নিজের মূল দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইরান কোনও সমঝোতায় যাবে না। তিনি বলেন, আমেরিকাকে আগে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে তা যাচাই করে দেখার পরই কেবল ইরান পরমাণু সমঝোতায় দেওয়া নিজের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে।
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ পাশ্চাত্যের সঙ্গে এমন একটি সমঝোতায় যেতে চায় যেখানে ইরানের মৌলিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। আর এ কাজ করতে গিয়ে ইরান যেমন তাড়াহুড়ো করবে না তেমনি অযথা সময় নষ্ট করতেও দেবে না।
ভিয়েনা সংলাপে পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর নীতি-অবস্থান সম্পর্কে আরাকচি বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এসব দৃষ্টিভঙ্গিকে পরস্পরের কাছাকাছি এনে একটি সমঝোতায় পৌঁছা হচ্ছে যেকোনও সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।
সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আরও বলেন, ষষ্ঠ দফা আলোচনায় চূড়ান্ত সমঝোতা অর্জিত হবে বলে তিনি মনে করেন না। তার মতে, প্রতিনিধিদলগুলো সমঝোতা চূড়ান্ত করার জন্য আরেক দফা যার যার দেশে ফিরে যেতে হবে।
ভিয়েনা আলোচনায় চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান ওয়াং কানও শনিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে যেকোনও ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর জন্য আগে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা অতি জরুরি।
‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান বলেছে, আমেরিকা আগে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে তাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে আসতে হবে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এই জায়গাটি নিয়ে মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।