শনিবার রাতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে সেই চীনা রকেট!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
লম্বায় ১০০ ফুট আর ওজন ২১ টনের চীনের বৃহত্তম রকেট লং মার্চ ৫-বি এর টুকরো অনিয়ন্ত্রিত গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা আগামী শনিবার রাতে পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাইক হাওয়ার্ড সিএনএনকে বলেছেন যে, ধারাণা করা হচ্ছে চীনের লং মার্চ ৫বি রকেটটি ৮ মে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। তবে মার্কিন স্পেস কমান্ড রকেটটির ট্র্যাক করছে।
ইতোমধ্যে রকেটটি ট্র্যাক করেছে অ্যারোস্পেস ডট অর্গ । এটি ৮ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। তবে এর সময় পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উৎক্ষেপণ করা চীনা রকেটের ওই অবশিষ্টাংশ কয়েক দিনের মধ্যেই বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করে ভূপৃষ্ঠে বা সমুদ্রে আছড়ে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের রকেটটি চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত এটা বলা সম্ভব হবে না যে ঠিক কোন অংশ দিয়ে এট পৃথিবীতে প্রবেশ করবে। তবে এর ট্র্যাকিংয়ের আপডেট ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে এটা পৃথিবীর কোথায় আছড়ে পড়বে তা জানা না গেলেও এই অংশটি কোনো মহাসাগর বা নির্জন এলা'কায় আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স সেন্টারের একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জনাথন ম্যাকডোয়েল।
এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে চীনের আরেকটি ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটের খণ্ডাংশ আইভরি কোস্টে পড়েছিল; তখন কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাতে কেউই আঘাত পায়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ম্যাকডোয়েল।
মার্কিন ১৮ মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ স্কোয়াড্রন মহাকাশে থাকা ২৭ হাজারের বেশি মনুষ্যনির্মিত বস্তুর গতিপথে নজর রাখে, যার বেশিরভাগই কক্ষপথের নিচের অংশে পৃথিবীর কাছাকাছি আছে বলে জানিয়েছে মহাকাশ