স্ক্যানারে ধরা পড়েছে নিখোঁজ সাবমেরিন! জীবিত থাকার আশা ক্ষীণ ৫৩ আরোহীর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:০৫ এএম, ২৫ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনটির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে ৫৩ আরোহীর জীবিত থাকার আশা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনীর প্রধান ইউদো মারগোনো।
উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইউদো মারগোনো জানান,’ অবশেষে শনিবার ওই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তারা সাবমেরিনের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আইটেম যেমন স্পঞ্জেস, গ্রিজ বোতল এবং নামাজের জন্য ব্যবহৃত সামগ্রী পেয়েছেন। তবে এখনো আরোহীদের পাওয়া যায়নি।
নৌবাহিনীর প্রধান জানান, নাঙ্গালা ৪০২ নামের সাবমেরিনটি একটি স্ক্যানারে ধরা পড়েছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫০ মিটারে গভীরে রয়েছে। যা মানুষের বেঁচে থাকার গভীরতা সীমার চেয়ে বেশি। সাবমেরিনটি ৫০০ মিটার গভীর পর্যন্ত চলাচলে সক্ষম ছিল।
এর আগে ২১ এপ্রিল বুধবার বালি দ্বীপের উত্তরে মহড়ার সময় উপকূল থেকে প্রায় ৬০ মাইল দূরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পরে সাবমেরিনটি। পরে ৫৩ জন নাবিকসহ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়। তিন দিনেও সাবমেরিনটি উদ্ধার না হওয়ায় নাবিকদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ।
প্রসঙ্গত, নাঙ্গালা ৪০২ নামের সাবমেরিনটি খোঁজায় ইন্দোনেশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ সহযোগিতা করেছে। ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সাবমেরিন রয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নাঙ্গালা ৪০২। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, সত্তর দশকের দিকে এই সাবমেরিন তৈরি হয়। ২০১২ সালের আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই বছর ধরে এটি মেরামত করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার কোনো সাবমেরিন নিখোঁজের ঘটনা ঘটল।