ভারতে ২৪ ঘণ্টা পুড়িয়েও লাশের স্তূপ ফুরাচ্ছে না শ্মশানে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২২ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গুজরাটসহ ভারতের অনেক রাজ্যের শ্মশানঘাট ও কবরস্থানে উপচে পড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মৃতদেহ। শ্মশানঘাট ও কবরস্থানের কর্মীরা অতিরিক্ত সময় কাজ করলেও জমে থাকছে লাশের স্তূপ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আড়াই লাখের বেশি নতুন সংক্রমণ হয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার ৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনের। এ নিয়ে ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হলো ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৩০ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মারা গেছে ৩৫১ জন। কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা দেড়শোর আশপাশে। ছত্তীসগড়ে সংখ্যাটা ১৭৫। দিল্লিতে দৈনিক মৃত্যু এক লাফে পৌঁছে গিয়েছে ২৪০-এ।
রোগী বৃদ্ধির জেরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলিতে বেড প্রায় খালি নেই। একই শয্যায় দুজন রোগী শুয়ে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এমনকি অক্সিজেন না পেয়ে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দৈনিক মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে মর্গের বাইরে, শ্মশানে এবং কবরস্থানে মৃতদেহের স্তূপ পড়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে যে পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে ভারতে তা দেখা যায়নি করোনার প্রথম পর্বেও।
গুজরাটসহ গোটা দেশের শ্মশানঘাটে অনবরত চলমান রয়েছে চুল্লি। শ্মশানে মৃতদেহের স্তূপ ও ক্রমাগত পোড়া দেহের দুর্গন্ধ স্থানীয়দের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। শ্মশানঘাটের কর্মীরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন করোনায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
গুজরাটের শিল্প শহর সুরাতের এক শ্মশানঘাট পরিচালনাকারী ট্রাস্ট্রের সভাপতি কমলেশ সেলর বলেন, আগে একদিনে ১৫ থেকে ২০টি দেহ আসতো। এখন শতাধিক মৃতদেহের চাপ থাকে প্রতিদিন।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় শ্মশানঘাটের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা এবং ২৪ ঘণ্টা পরিচালনা করা সত্ত্বেও, স্বজনদের দেহ পোড়ানোর জন্য পরিবারকে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমলেশ সেলর।
ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তারা জানিয়েছেন দেশটিতে এখনও অনেক মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে থেকেই মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন ছিল প্রশ্নের মুখে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলের করোনায় মৃত্যু সরকারি তালিকায় নথিভুক্ত হয়নি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা হয়েছে বয়সজনিত ও হৃদরোগ।