ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধ কর, ইসরায়েলকে তুরস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৩ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসি আচরণ বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ আগ্রাসী নীতি আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য ধ্বংসাত্মক।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটা উদ্বেগজনক যে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিপীড়ন ও সহিংসতা পবিত্র রমজানে বেড়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মাহে রমজানে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদে গিয়ে নামাজের স্বাধীনতায় বাধা দিয়েছে এবং তারা অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এ ধরনের হামলা এবং সহিংসতাকে ইসরায়েল উৎসাহিত করছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রশাসন পূর্ব-জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের নির্বাচনি কার্যক্রম রোধ করার চেষ্টা করে এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে নির্বাচনি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য একাধিক ফিলিস্তিনিকে নির্বিচারে আটক করে।
তুর্কি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলি তাদের আগ্রাসী নীতির সর্বশেষ উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী টুইটারে দাবি করেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গ্রুপ হামাস, গোলাবারুদের একটি কারখানা এবং অস্ত্র চালানের একটি সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
তুর্কি গণমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২০০৭ সালে হামাস উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাটি মিসর-ইসরায়েলের অবরোধের অধীনে রয়েছে। এ অবরোধ উপকূলীয় উপত্যকাটির জীবনযাত্রা দারুণভাবে ব্যাহত করেছে।
২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংসতায় দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোক। ওই হামলায় আহত হন ১১ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।