avertisements 2

পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে মিয়ানমার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৫ এএম, ১৯ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দায়িত্বে থাকা দেশটির সরকারি সংস্থা দেশের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিয়ানমারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে পৃথিবীতে থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে মিয়ানমার।

এদিকে মার্কিন দূতাবাস ‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করে বলেছে, তারা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির আটকের পাশাপাশি ইয়াঙ্গুনসহ বেশ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে অবগত রয়েছে।

সোমবার ভোরে দেশটির সেনাবাহিনী মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আকস্মিকভাবে আটক করে।

সেনা অভ্যুত্থানের এ ঘটনায় দেশটিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেয়া হয় ব্যাংক। খাদ্যের দোকানগুলোয় মানুষের ভিড় বাড়ছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে পুলিশ।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, সামরিক শাসন শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়া হবে।

গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি জয়ী হয়। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

সংকটের শুরুটা মূলত এখান থেকেই। ২০১৭ সালে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর গণহত্যা নিয়ে সু চি কার্যত দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষেই ছিলেন। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। ২০১৫ সালের তুলনায়ও সে বছর সু চির দল বেশি ভোটে জয়ী হয়। এরপর সু চি ক্ষমতায় আসেন। এ নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর অভিযোগ, ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।

সেনাবাহিনীর দাবি, ভোটে কারচুপির এক কোটির বেশি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। যাচাই–বাছাইয়ের জন্য সেনাবাহিনী সরকার পরিচালিত নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকা দেয়ার দাবি জানিয়েছে।

কিছুদিন আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এক বক্তব্যে মিয়ানমারের সংবিধান বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই উত্তেজনা চরমে ওঠে।

গত সপ্তাহে ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তায়, রাজধানী নেপিডো ও অন্যান্য এলাকায় সেনাবাহিনীর ট্যাংক মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনের ফল নিয়ে সেনা–সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। এসবেরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2