মিয়ানমারে বৃষ্টির মতো গুলি, ঝরে গেল ৩৮ প্রাণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ৪ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪০ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মিয়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে করা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আবারও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে জান্তারা। এতে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। বিক্ষোভ দমাতে সামরিক বাহিনী ও পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে। এ অবস্থায় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা মিয়ানমার।
সেনাদের এমন আগ্রাসী ভূমিকায় নিন্দা ও ক্ষোভে ফুঁসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও। তারা বলছে, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর দমাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যেন পাখির মতো মানুষ হত্যায় মেতেছে। রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্রের সঙ্গে সারা দেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবারের দেশব্যাপী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট থিনজার শুনলেই রয়টার্সকে বলেন, ‘বীভৎস ঘটনা, এটা রীতিমতো হত্যাকাণ্ড৷ পরিস্থিতি বা অনুভূতি বর্ণনা করার ভাষা নেই আমার’
গেলো রোববার ১৮ জনের মৃত্যুর পর বুধবার আবারও ঘটলো হতাহতের ঘটনা। রাজপথে ঝরলো রক্ত। ইয়াঙ্গুন ছাড়াও দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যান্দালেতে প্রতিবাদস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালায়। সহিংসতায় একজন পুলিশও নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
দেশব্যাপী চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। বাদ যাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও। তবে যতই নির্যাতন চলুক বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সামরিক বাহিনীর এমন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস নিন্দা জানিয়েছেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইন্দোনেশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ।