নরওয়েতে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ২৩ জনের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৭ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর নরওয়েতে ২৩ জন বয়স্কের মৃত্যু হয়েছে। ওই ২৩ জন ছাড়াও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়েছেন।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে, এই খবর পাওয়ার পর নরওয়ের ডাক্তারেরা এই মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন। প্রাথমিকভাবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক লোকেদের যাদের এমনিতেই ভগ্নস্বাস্থ্য তাদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
ফাইজারের ওই ভ্যাকসিন এবং মৃত্যুর মধ্যে সরাসরি কি যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, এই টিকা গ্রহণের পর যে ২৩ জন নরওয়ের নাগরিক মারা গিয়েছেন তাদের ১৩ জনের বয়স ৮০ বছরের বেশি।
টিকা গ্রহণের পর এদের মধ্যে জ্বর-ডায়েরিয়াসহ আরও বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই মৃত্যু ঘিরে উদ্বেগ বাড়ায় ফাইজার সাময়িকভাবে ইউরোপে তাদের ভ্যাকসিন পাঠানোর হার কমিয়ে দিয়েছে।
তবে ফাইজারের সরবরাহ কমানোর কারণ উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা। তাই চাইছে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রতিবছর ২ বিলিয়ান ভ্যাকসিন ডোজ করার। বর্তমানে যেখানে বছরে ১.৩ বিলিয়ান উৎপাদন হয় বলে নরওয়েজিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ জানিয়েছে।
নরওয়েজিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ জানাচ্ছে, যাদের বয়স ৮০ বছরের বেশি অর্থাৎ যাদের জীবনদৈর্ঘ্য খুবই ছোট হয়ে আসছে তাদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে তেমন কিছু সুবিধা হবে না। এমনটাই জানাচ্ছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন।ডিসেম্বরের পর থেকে নরওয়েতে ফাইজার অথবা মর্ডানা করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম শট দেওয়া হয়েছে ৩০,০০০ লোককে ।
২৩ জনের মৃত্যুর পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডাক্তাররা যেন সাবধানতা অবলম্বন করে কাকে কাকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়।যারা মারা গিয়েছেন তারা ছাড়াও ২১ জন মহিলা এবং ৮ জন পুরুষের সাইড এফেক্ট হয়েছে। এদের মধ্যে ৯জনের উপর সিরিয়াস রকম সাইডএফেক্ট হয়েছে এবং ৭ জনের তুলনায় কম সাইডএফেক্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে। ৯ জনের এলার্জি গত রিয়াকশন হয়েছে।