বিধ্বস্ত ইয়েমেনে ক্ষুধায় সাত বছরের ছেলের ওজন ৭ কেজি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:২১ এএম, ৬ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫

ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিপর্যস্ত গোটা ইয়েমেন। খাদ্য সংকটে ভুগছে দেশটির লাখ লাখ মানুষ। অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত প্রায় এক ছেলে শিশুর ছবি সামনে আসার পরই বোঝা যাচ্ছে দেশটিতে খাদ্য সংকট কতটা প্রকট। রাজধানী সানায় ফায়িদ সামিম নামে সাত বছরের একটি শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে, যার ওজন সাত কেজি।
রোববার মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছেলে শিশুটিকে হাসপাতালের বিছানায় কুঁকড়ে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। ফায়িদের ক্ষীণ দেহটি হাসপাতালের ভাঁজ করা কম্বলের এক-চতুর্থাংশ দিয়েই ঢেকে দেওয়া যায়। এমন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়র্টাস।
তার পরিবারের সদস্যরা সানা থেকে ১৭০ কিলোমিটার উত্তরের আল জাওফ থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে । ফায়িদের চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ বহন করা সম্ভব না তার পরিবারের। ফলে শিশুটির পরিবারকে অনুদানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
সানার আল সাবীন হাসপাতালের অপুষ্টি ওয়ার্ডের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক রাজে মোহাম্মদ বলেন, যখন তাকে আনা হয় তখন তার প্রায় শেষ অবস্থা, কিন্তু আল্লাহকে ধন্যবাদ যা করার প্রয়োজন ছিল আমরা তা করতে পেরেছি আর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সে সেরিব্রাল প্যালসি (সিপি) ও মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সঙ্কট’ বলে বর্ণনা করছে। এরপরও সরকারিভাবে ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়নি।
২০১৮-এর শেষ দিকে জাতিসংঘের আসন্ন দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারির কারণে দেশটিতে ত্রাণ প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া, পঙ্গপাল, বন্যা ও তহবিল অপ্রতুলতার কারণে ২০২০ এ ত্রাণ প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় খাদ্য সমস্যা উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনের যুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট স্থানীয় শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। হুতিরা ইরানের সমর্থন পায় বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

বিবিসির প্রতিবেদনে এবার উঠে এলো আয়নাঘরের ভয়াবহ চিত্র

৩৬টি হামলায় শুধু নারী-শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের মঙ্গল ভারতের চেয়ে বেশি অন্য কেউ কামনা করে না: জয়শঙ্কর
