avertisements 2

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:২৪ পিএম, ৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৫ পিএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

অ্যাসাঞ্জের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে এ কারণ দেখিয়ে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন লন্ডনের একটি আদালত। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।

জেলা জজ ভ্যানেসা বারাইটসার সোমবার সকাল ১০টায় ওল্ড বেইলি আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮টি অভিযোগ রয়েছে। আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন হামলার বিস্তারিত তথ্যের পাঁচ লাখ ফাইল প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগগুলো আনা হয়।

বারাইটসার তার রায়ে বলেন, ৪৯ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ। এ অবস্থায় তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সঁপে দিলে তার জীবন বিপন্ন হতে পারে। সোমবার বিচারের সময় নীল রঙের স্যুট এবং সবুজ মাস্ক পরে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। বিচারক যখন তার রায় দেন, তখন তিনি চোখ বন্ধ করে ছিলেন। এ সময় আদলতে তার বাগদত্তা স্টেলা মোরিস, উইকিলিসের এডিটর ইন চিফ ক্রিসটিন হ্রাফসন উপস্থিত ছিলেন।

২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে হাজার হাজার গোপন সরকারি নথি ফাঁস করে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর মাধ্যমে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং জনজীবন ঝুঁকিতে ফেলেছেন। এজন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এ দাবির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন অ্যাসাঞ্জ। তিনি বলেছেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ব্রিটিশ আদালতের সোমবারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে অ্যাসাঞ্জ বন্দি রয়েছেন। সেখানে কয়েকজন বন্দির করোনা শনাক্ত হয়েছে। অ্যাসাঞ্জ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাই করোনা সংক্রান্ত ঝুঁকি তার আরো বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব নথি ফাঁস করে আইন ভঙ্গ করেছেন অ্যাসাঞ্জ। অন্যদিকে অ্যাসাঞ্জ বলেছেন, তার মামলা নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা হয়েছে। অস্ট্রেলীয় এ প্রকাশককে ঘিরে এক দশকেরও বেশি সময় চলা আন্তর্জাতিক আইনি বিতর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর ইস্যুতে রায় দিলেন ব্রিটিশ আদালত। ব্রিটেনের রায়ের আগে জার্মানি ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও মানবিক সমস্যাগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে অ্যাসাঞ্জ বন্দি রয়েছেন। সেখানে কয়েকজন বন্দির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অ্যাসাঞ্জ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ঝুঁকি তার আরো বেশি।

বিষয়: অ্যাসাঞ্জ
avertisements 2