কঙ্গোতে রহস্যময় রোগে ১৪৩ জনের মৃত্যু!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৫৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি রহস্যময় রোগে গত নভেম্বরে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এখনো এই অসুস্থতার কারণ খুঁজে পাইনি দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রহস্যময় ওই রোগটির বিষয়ে গত সপ্তাহেই প্রথমবার গণমাধ্যমকে অবহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত এই রোগে ১৪৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোগটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে কঙ্গোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোয়াঙ্গো প্রদেশের পানজি অঞ্চল। গত ১০ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের এই রেকর্ডের মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে এই রোগের প্রথম রিপোর্ট সম্ভবত অক্টোবরের শেষের দিকে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন সূত্রে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সহকারী প্রাদেশিক গভর্নর রেমি সাকি অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘ওই সময়ের মধ্যে রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ থেকে ১৪৩ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।’
সাকি জানান, মহামারি বিশেষজ্ঞদের একটি দল ওই অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং সমস্যাটি চিহ্নিত করবে।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাপোলিনায়ার ইয়াম্বা রোগটির বিভিন্ন উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি এবং রক্তশূন্যতার কথা উল্লেখ করেছেন। মৃত্যুর আগে এই উপসর্গগুলো দেখা গেছে।
জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন ইয়াম্বা। সংক্রমণ এড়াতে তিনি মৃতদেহের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এই স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, রাসায়নিক দূষণজনিত খাদ্য বা পানির কারণেও এই মৃত্যুগুলো হতে পারে। আবার নতুন কোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবও হতে পারে এটি। সম্প্রতি একটি নতুন ধরনের বার্ড ফ্লু সহজেই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—রোগটিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই ১৫ বছরের বেশি বয়সী কিশোর-কিশোরী। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এমনটি অস্বাভাবিক। কারণ সাধারণত খুব ছোট কিংবা বয়স্ক মানুষেরাই সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটি সম্পর্কে অবগত হয়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করতে একটি দলও পাঠিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, কঙ্গো ইতোমধ্যেই এমপক্স মহামারি দ্বারা জর্জরিত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে হাজারেরও বেশি।