ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন ৮ মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:৩৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইসলামাবাদে বিক্ষোভের ঘটনায় ইমরান খান, বুশরা বিবি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আট মামলা করেছে পাকিস্তান সরকার। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত রোববার (২৪ নভেম্বর) ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত বিক্ষোভে’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলামাবাদে অভিমুখে যাত্রা করেন হাজার হাজার পিটিআই কর্মী। ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। তবে পথিমধ্যেই প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ করে পিটিআই।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসলামাবাদে পৌঁছানোর পর আধাসামরিক বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে আট কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে পিটিআই। এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘বিক্ষোভে কোনো গুলি চালানো হয়নি এবং কোনো লাশ হাসপাতালে আসেনি। পিটিআই নেতারা ১০ থেকে ২০০ জন নিহত হওয়ার কথা বললেও এটি সত্য নয়।’
পাকিস্তান সরকার ইমরান খানের এই বিক্ষোভকে ‘মৃতদেহের রাজনীতি’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে মতিউল্লাহ জান নামে একজন সাংবাদিককে সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি। মতিউল্লাহ জান সাম্প্রতিক এই বিক্ষোভে সম্ভাব্য নিহতদের বিষয়ে তদন্ত করছিলেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। তবে পিটিআই সামরিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সরকার গঠনে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকেই ইমরান খানের মুক্তি ও নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলন করছে পিটিআই।
উল্লেখ্য, টানা তিন দিনের উত্তেজনা শেষে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইমরান সমর্থকেরা রাজধানী ইসলামাবাদের রেড জোন ডি-চক এলাকায় পৌঁছানোর পর বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। একই সঙ্গে, দেশের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশকেও বিপন্ন করছে।
জিওনিউজের প্রতিবেদনে বলা বলা হয়, ইসলামাবাদের শাহজাদ টাউন, সিহালা, খান্না, শামস কলোনি, নুন, নিলোর, তরনল, বানিগালাসহ বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নাম রয়েছে।