avertisements 2

১৬ প্রজাতির পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দিল এসএফএ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জুলাই, বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৫০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

খাবারের উপযোগী এমন ১৬ প্রজাতির পোকামাকড়কে এবার ‘খাদ্য’ হিসেবে অনুমোদন দিয়ে দিল সিঙ্গাপুরের খাদ্য এজেন্সি (এসএফএ)। এবার থেকে সেখানে এই সব পোকামাকড় বিক্রি করা ও খাওয়া যাবে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। এসএফএর অনুমোদিত পোকামাকড়ের মধ্যে রয়েছে পঙ্গপাল, ফড়িং, খাবার কীট ও বিভিন্ন প্রজাতির বিটল। এই পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ যেমন মানুষের খাবারের জন্য ব্যবহার হতে পারে তেমনি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রাণীদের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বন-জঙ্গল থেকে এসব পোকামাকড় সংগ্রহ করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পোকামাকড় যে কোনো অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের খামারে চাষ করা হয়েছে তার প্রমাণ থাকতে হবে। সিএনএন নতুন প্রবিধান সম্পর্কে  এসএফএর কাছে পৌঁছলে একজন মুখপাত্র বলেছেন ‘যে তালিকাভুক্ত পোকামাকড়কে মানুষের ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য মূল্যায়ন করতে হবে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, সিঙ্গাপুরে পোকামাকড় খাওয়া একটি অভিনব বিষয়। গবেষকরা ২১০০ টিরও বেশি ভোজ্য প্রজাতির পোকামাকড় রেকর্ড করেছেন- যার মধ্যে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। মিথেন-উৎপাদনকারী গবাদি পশুর বিপরীতে উচ্চ প্রোটিনের একটি টেকসই উৎস হিসাবে কাজ করে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে পোকামাকড়কে কেন্দ্র করে একটা নতুন ধরনের খাদ্য-শিল্প ধীরে ধীরে ডানা মেলছে। এখন বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নানা রকম পোকামাকড়কে নির্দ্বিধায় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। দেশে-দেশে এগুলি এখন খাবারের নতুন আইটেম। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তৈরি করা হয়েছে। কোন ধরনের পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ দেয় তারা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুসারে, 'পোকামাকড় প্রোটিনের একটি উপেক্ষিত উৎস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি উপায়। আমাদের প্রাণিজ প্রোটিনের ব্যবহার গ্রিনহাউস গ্যাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উৎস। (গ্রাহক) পোকামাকড় জলবায়ু পরিবর্তনকে অনেক উপায়ে অফসেট করতে পারে। 'ঘাসফড়িং টাকো মেক্সিকোর কিছু অংশে একটি জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পিঁপড়া, ঝি ঝি পোকা  এবং এমনকি ট্যারান্টুলা মাকড়সাকে সাধারণত ভক্ষণ করা  হয়। পোকামাকড় সাধারণত সিঙ্গাপুরে গান বার্ড এবং সরীসৃপের মতো পোষা প্রাণীর খাদ্য হিসাবে বিক্রি হয়, তবে তারা মানুষের খাবারের জন্য একটি নতুন বিকল্প হতে পারে।  
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2