সহকর্মীদের স্ত্রী নিয়ে মন্তব্য, গ্রেপ্তার সাবেক বিচারপতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ৩ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ১২:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারী বিচারপতি ও পুরুষ বিচারপতিদের স্ত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় গ্রেপ্তার হলেন ভারতের এক সাবেক বিচারপতি। তাঁর নাম সি এস করনান। চেন্নাই পুলিশ আজ বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়।
সাবেক ওই বিচারপতি শুধু মন্তব্যই করেননি, ওই বক্তব্য তিনি ইউটিউবে আপলোডও করেছেন।টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, আভাদিতে নিজ বাড়ি থেকে সাবেক ওই বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ভেপেরিতে কমিশনার কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৫০৯ ধারায় (কোনো নারীকে অপমান, আপত্তিকর শব্দচয়ন) ও ১৫৩ ধারায় (দাঙ্গা লাগাতে অযাচিত কোনো উসকানি দেওয়া) মামলা করেছে।
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট বেশ চটেছেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালত পুলিশের মহাপরিদর্শকে (ডিজিপি) ৭ ডিসেম্বর হাজির হয়ে এ মামলার অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দেন। এর এক দিন পরই তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
এর আগে হাইকোর্ট সাবেক ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করতে কমিশনারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ডিজিপিকে তদন্ত তদারক করতে বলেন।
তামিলনাড়ুর বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই আবেদনে বলা হয়, বিচারপতিদের স্ত্রী, নারী আইনজীবী ও আদালতের নারী কর্মীদের সাবেক ওই বিচারপতি ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায় তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। এরপর পুজহাল কারাগারে পাঠানো হবে।
২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে থাকার সময় আদালত অবমাননার দায়ে করনানের ছয় মাসের কারাদণ্ড হয়েছিল। হাইকোর্টে দায়িত্বে থাকাকালে কোনো বিচারপতির কারাগারে যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম ছিল।
ওই সময় প্রধান বিচারপতি জে এস খেহারের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ করনানকে হেফাজতে নিতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর কারাদণ্ড হলে তিনি বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। পরে তাঁকে মোবাইল ট্র্যাক করে ধরা হয়।
২০০৯ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে তিনি কলকাতায় বদলি হন। তিনি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে লিখে অভিযোগ করেছিলেন।
গত বছর এই সাবেক বিচারপতি অ্যান্টিকরাপশন ডায়নামিক পার্টির (এসিডিপি) হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।