সুইডেন কেন কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জুলাই,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৩০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সুইডেনে মুষ্টিমেয় কিছু ইসলাম বিরোধী ব্যক্তি সম্প্রতি প্রকাশ্যে কোরআনের অবমাননা করলে, মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আর, সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে প্রশ্ন দেখা দেয়- কেন এই ধরনের কাজ করতে দেয়া হয়?
সুইডেনে কোরআন বা অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো বা এসবের অবমাননা নিষিদ্ধ করে, এমন বিশেষ কোনো আইন নেই। আর, অনেক পশ্চিমা দেশের মতো, সুইডেনে কোনো ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা বিষয়ক আইনও নেই।
সুইডেন কর্তৃপক্ষ কি মুসলিমদের এবং কোরআনকে লক্ষ্যে পরিণত করছে? একজন মুসলিম ব্যক্তি দৃশ্যত পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তৌরাত ও বাইবেলে আগুন দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় কি-না। তিনি শনিবার ইসরাইলের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার অনুমতির জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেছিলেন যে- ওই স্থানে তিনি তৌরাত ও বাইবেল পোড়াতে চান।
ইসরাইলের সরকারি কর্মকর্তারা এবং ইহুদি সংগঠনগুলো তার এই পরিকল্পিত কাজের নিন্দা জানায় এবং সুইডেনের পুলিশকে এ কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানায়। তারপরও, পুলিশ ওই ব্যক্তির অনুরোধের অনুমোদন করে। ওই ব্যক্তি তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন এবং বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে তিনি কোনো ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো সমর্থন করেন না।
অনেক দেশে ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননা একটি ফৌজদারি অপরাধ। পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ সালেও ১৯৮টি দেশের মধ্যে ৭৯টি দেশ এবং অঞ্চলে ব্লাসফেমি নিষিদ্ধ করে আইন বা নীতি ছিল। ওই সব আইন বা নীতিতে ব্লাসফেমিকে ‘কোনো ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বলে বিবেচিত বক্তব্য বা ক্রিয়া’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। অন্তত সাতটি দেশে- আফগানিস্তান, ব্রুনাই, ইরান, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও সৌদি আরবে ব্লাসফেমির অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রদান পর্যন্ত বিধান রয়েছে।