টাইটানকে খুঁজতে যাচ্ছে ভিক্টর ৬০০০
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ফুরিয়ে আসছে সময়, দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে ডুবোযান টাইটানের ভেতরে সংরক্ষিত অক্সিজেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোররাতের (১০.০০ জিএমটি) পর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে হারিয়ে যাওয়া টাইটানের আরোহীদের নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো আর কোনো অক্সিজেন সেটিতে থাকবে না বলে জানিয়েছে ওশেনগেইট।
গত রোববার ওশেনগেইটের টুরিস্ট ডুবোযান (সাবমেরিন) টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূলীয় আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় এর সঙ্গে পানির ওপরে থাকা জাহাজ পোলার প্রিন্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তারপর থেকে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ২০০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিবিড় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনো টাইটানের অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। টাইটানকে উদ্ধারে বুধবার বিকালে পানির তলদেশে চলাচলে সক্ষম ভিক্টর ৬০০০ নামে একটি ফরাসি রোবোটিক্যালি অপারেটেড ভেহিক্যাল (আরওভি) আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এটি টাইটানকে উদ্ধারে পানির তলদেশে যাবে এবং ডুবোযানটিকে পানির উপর ভেসে উঠতে বাধা দিচ্ছে এমন কোনো কিছু যদি থেকে থাকে তবে সেটিকে সরিয়ে দেবে।
এই অভিযানে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। যে সময়টাই এখন ডুবোযানে আটকে পড়া আরোহী বা তাদের উদ্ধারে নিয়োজিত কর্মীদের হাতে নেই। ডুবোযানের আরোহীদের প্রাণরক্ষা করতে উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন।
ভিক্টর ৬০০০ রোবযানটি ‘ফ্রেন্স রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর এক্সপ্লোইটেশন অব দ্য সি’ এর দ্বারা পরিচালিত। সংস্থাটির প্রধান বিবিসিকে বলেন, ‘‘এখনো তাদের বেঁচে থাকার আশা রয়েছে, তাই আমাদের চেষ্টা করতেই হবে।”
টাইটানের পাঁচ আরোহীর মধ্যে একজন পাইলট ও অপর চারজন যাত্রী। এই যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ, ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং এবং ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি পল হেনরি নারজুলেত।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে আটলান্টিকের ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। পর্যটন সংস্থা ওশেনগেইট টাইটানিকের ওই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে নিয়ে যায় পর্যটকদের।
এজন্য ওশেনগেইট ব্যবহার করে কার্বন-ফাইবারের তৈরি ২২ ফুট লম্বা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কেজি ভরের একটি ডুবোযান, যার নাম টাইটান। এটি সাগরতলের ৪০০০ মিটার (১৩১২৩ ফুট) পর্যন্ত গভীরে যেতে সক্ষম।
টাইটানের খোঁজে তল্লাশিরত কানাডার একটি আকাশযান পানির নিচে ‘শব্দ’ শনাক্ত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে।
বুধবার ভোররাতে ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে তারা জানায়, মঙ্গলবারের এ অগ্রগতি অনুসন্ধানকারী দলকে তাদের পানির নিচের রবোটিক (আরওভি) তল্লাশি অভিযানের এলাকা নতুনভাবে নির্ধারণ করে ‘ওই শব্দের উৎস বের করার উদ্যোগ নিতে’ সহায়তা করবে।