avertisements 2

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী সাবমেরিন নিখোঁজ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ জুন,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ছবি- সংগৃহীত

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে পর্যটকবাহী একটি সাবমেরিন। যেটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। সোমবার (১৯ জুন) এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গত রোববার এক বিলিয়নিয়ারসহ পাঁচ আরোহী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে ডুব দেয় একটি সাবমেরিন। ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই এটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খুব দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আরোহীদের ভাগ্য করুণ পরিণতি নেমে আসতে পারে। কারণ, এতে খুব বেশি অক্সিজেন মজুত নেই।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিখোঁজ সাবমেরিনের অন্যতম আরোহী ছিলেন ৫৮ বছর বয়স্ক ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার হ্যামিশ হার্ডিং। এটি ছিল ২০২৩ সালে মনুষ্যবাহী মিনি সাবমেরিনটির প্রথম ও একমাত্র মিশন।

মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন মজুত রয়েছে সাবমেরিনটিতে। যেখানে এর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন।

সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছোট আকারের সাবমেরিনে করে পর্যটকরা প্রায়ই সেখানে ওই ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেট এক্সপিডিশন পর্যটকদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে।
 
ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। ৮দিনের ভ্রমণের জন্য একজন যাত্রীর কাছে থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি।
 
ওশেনগেট এক্সপিডিশনের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের একটি সাবমেরিন সমুদ্রের তলদেশে রয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে আরও দুটি সাবমেরিন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
 
সাবমেরিনটিতে মাত্র পাঁচজন বসতে পারেন। এর মধ্যে তিনজন পর্যটক। বাকি দুজনের একজন সাবমেরিনের চালক ও অন্য আরেকজন কন্টেন্ট এক্সপার্ট। সমুদ্রতলে অবতরণ ও আরোহণে প্রায় আট ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন হয়।

১৯১২ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক রওনা দিয়েছিল তৎকালীন বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক। দাবি করা হয়েছিল, জাহাজটি কখনও ডুববে না। কিন্তু, প্রথম যাত্রারই মাঝপথে একটি আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষে আটলান্টিকে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। সে সময় এই জাহাজ ডুবিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তারপর থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের প্রায় ১২,৫০০ ফুট নিচে পড়ে রয়েছে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ।

১৯৮৫ সালে কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে প্রথমবার আবিষ্কার হয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ডুবে যাওয়ার সময় মাঝখান থেকে ভাগ হয়ে সমুদ্র তলদেশে দুটি অংশে পড়ে আছে টাইটানিক। ১৯৯৭ সালের টাইটানিকের ডুবে যাওয়া এবং তার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের কাহিনি অবলম্বন করে একটি চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন হলিউডি চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা হয়ে আছে টাইটানিক।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2