avertisements 2

ভারত আওয়ামী লীগের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেন-দরবার করবে না : শ্রীরাধা দত্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ মে,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:১৬ পিএম, ৪ মার্চ,সোমবার,২০২৪

Text

২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর সরকারকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক পরিম-লে দূতিয়ালিতে নেমেছিল ভারতের দিল্লির সাউথ ব্লক। ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিশ্বপরিম-লে সমালোচনা ঠেকিয়েছিল ভারত। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিংয়ের বক্তব্য সবার জানা। এর মধ্যে বাংলাদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সব দলের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের লক্ষ্যে গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নতুন ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণা করেছে। 

এ অবস্থায় সরকারের নীতি নির্ধারকরা মুখে যাই বলুক কার্যত তারা চাপের মুখে পড়ে গেছেন। এ অবস্থায় অতীতের মতো দিল্লি কী বর্তমানের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূতিয়ালি করবে? এমন প্রেক্ষাপট নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।‘মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি সামলানোর উপায় কী শেখ হাসিনা সরকারের’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তারা তিনজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের মতামত তুলে ধরেন। ভারতের জিন্দাল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষক প্রফেসর শ্রীরাধা দত্তের কাছে এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘ভারত সরকার আওয়ামী লীগের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেন-দরবার করবে না’। এ প্রতিবেদনে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে লেখা হয়, আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে একটি হুমকি আসছে এটি বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলাদেশের সরকার সম্ভবত আঁচ করছিল। কারণ, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে খোলাখুলি আমেরিকার তীব্র সমালোচনা শোনা গেছে। এপ্রিলে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন আমেরিকা চাইলে যে কোনো দেশেই ক্ষমতা ‘উল্টে-পাল্টে’ দিতে পারে। এ মাসে লন্ডনে তিনি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন ‘আমেরিকা আমাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না।’ কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কাগজে-কলমে ভিসা নিষিদ্ধের এই হুমকি চলে আসার পর কী করবে আওয়ামী লীগ সরকার?

অগামী নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং তার মন্ত্রীরা দিতে শুরু করেছেন, তাতে কি আমেরিকাকে আশ্বস্ত করা যাবে? অধিকাংশ পর্যবেক্ষক তা মনে করছেন না। কারণ এ মাসেই ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের পক্ষ থেকে দেওয়া অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির দুই সপ্তাহ না যেতেই মি. ব্লিঙ্কেন নিজে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি ঘোষণা করেন। বোঝাই যাচ্ছে, আমেরিকা প্রমাণ দেখতে চাইছে।

তবে কেউই বিশ্বাস করছেন না যে আমেরিকার কাছ থেকে এই হুমকির পর রাতারাতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক আবহ বদলে যাবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কোনো চাপ ছাড়াই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে, বা গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2