বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে মিলল ১৮ মরদেহ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বুলগেরিয়ায় একটি পরিত্যক্ত ট্রাক থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে এক শিশুর মরদেহও আছে। এছাড়া, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার বুলগেরিয়ার সরকারের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। পরিত্যক্ত গাড়িটি প্রায় ৪০ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে পরিবহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উদ্ধারকৃত জীবিতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বিবিসি বলছে, পরিত্যক্ত ওই ট্রাকের লোকেরা ঠাণ্ডা, ভেজা অবস্থায় ছিল এবং তারা কয়েকদিন ধরে কিছুই খায়নি বলে জানিয়েছেন বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এটিকে বুলগেরিয়ায় অভিবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
তুরস্ক থেকে বিপুল সংখ্যক লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা করে থাকেন। এ কাজে তারা রুট হিসেবে বুলগেরিয়াকে ব্যবহার করে থাকে। আর তাই বুলগেরিয়া দীর্ঘদিন ধরে তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টাকারী বিপুল সংখ্যক লোককে ঠেকাতে কার্যত লড়াই করছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া থেকে ১২ মাইল (২০ কিমি) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত লোকরস্কো গ্রামের কাছে পরিত্যক্ত ওই ট্রাকটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই ট্রাকটি কাঠের নিচে লুকিয়ে থাকা অভিবাসীদের অবৈধভাবে পরিবহন করছিল বলে বলকান এই রাষ্ট্রটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বুলগেরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসান মেদঝিদিভ ট্রাকের ভেতরের অবস্থা বর্ণনা করে বলেছেন: ‘এই ট্রাকে তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা অক্সিজেনের সংকটে ছিল। ঠান্ডায় তারা জমে ছিল, ভেজা অবস্থায় ছিল, তারা বেশ কয়েক দিন ধরে খায়নি।’
ট্রাকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় ১৪ জনকে। তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর এবং পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া আরও ১০ জনকে আশপাশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আসান মেদঝিদিভ।
পুলিশ মানব পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিবিসি বলছে, তুরস্ক থেকে প্রবেশের চেষ্টাকারী লোকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে।
আশ্রয়প্রার্থীদের অভিযোগ, দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টার সময় তাদের আটকে দেয়া ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি আশ্রয়প্রার্থীদের মালামাল কেড়ে নেয়া এবং মারধর করার অভিযোগের সম্মুখীনও হয়েছে বুলগেরিয়া।