avertisements 2

মিতু হত্যার রহস্য উদঘাটন, ফেঁসে যাচ্ছেন বাবুল আক্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫

Text

ফাইল ছবি

ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করিয়েছেন বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। এ জন্য খুনিদের দিয়েছিলেন তিন লাখ টাকা। বিদেশি এনজিও সংস্থার কর্মী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে এমন জঘন্য সিদ্ধান্ত নেন বাবুল আক্তার। পিবিআইর তদন্তে মিতু হত্যার রহস্য এভাবে উদ্ঘাটন হয়। 

এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিতু হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাবুল আক্তার- এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এ কারণে নির্দেশদাতা বাবুল আক্তারসহ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সাতজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। 

মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার ছাড়াও অন্য যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলোা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। মিতু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইতঃপূর্বে গ্রেফতার হওয়া চারজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতু

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বুধবার (২৪ আগস্ট) বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন হন স্ত্রী মিতু। মূল অভিযোগপত্র নয় পৃষ্ঠার। তবে এর সঙ্গে দশ খণ্ডের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) আমি এরইমধ্যে স্বাক্ষর করে দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে পিবিআই প্রধানও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন,‘মামলাটি তদন্ত শেষ পর্যায়ে। চার্জশিটটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এখনো আমার কার্যালয়ে আসেনি। তবে খুব শিগগিরই চার্জশিট দেওয়া হবে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2