অস্ট্রেলিয়া থেকে কার্যত ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ‘ক্লাস্টার’ বা গুচ্ছ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় বিচ্ছিন্ন নগরীতে পরিণত হয়েছে সিডনি। দেশটির বাকি সব রাজ্য এবং অঞ্চল নিউ সাউথ ওয়েলস বাসিন্দাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি’ (এসিটি) সিডনির বাসিন্দাদের দেওয়া এক কঠোর বার্তায় বলেছে, ‘আমাদের এখানে এসো না’। যদি তারা আসে তবে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এসিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়, ‘যদি আপনি এসিটির বাসিন্দা না হন এবং যদি বৃহত্তর সিডনিতে বসবাস করেন...তবে আপনার প্রতি আমাদের বার্তা খুবই সাধারণ : এসিটি ভ্রমণে আসবেন না।’
ভিক্টোরিয়া ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য এবং নর্দান টেরিটোরি সোমবার হতে সিডনি থেকে মানুষের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এজন্য কুইন্সল্যান্ড পুলিশ নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সীমান্তে চেকপোস্ট বসাতে চলেছে। সিডনি নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী। সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য রবিবার হতে সিডনি থেকে আসা সব মানুষের ওপর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। আর সিডনির যে এলাকায় নতুন ক্লাস্টারটি দেখা দিয়েছে সেখানকার মানুষের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দ্বীপরাজ্য তাসমানিয়া শনিবার থেকে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সিডনি ছাড়া নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের ভ্রমণের জন্য এখন বাড়তি কাগজ দেখাতে হবে। যেখানে লেখা থাকতে হবে তারা নতুন করে আক্রান্ত এলাকায় বসবাস করেন না।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বেশ সফলভাবেই সামলে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বুধবারের আগের দুই সপ্তাহে দেশটিতে স্থানীয়ভাবে মাত্র এক জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ফলে পুরো দেশ স্বাভাবিকভাবে বড়দিন ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উৎসব উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু গোল বাধে সিডনি নর্দান বিচেস অঞ্চলে। গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৭০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা কীভাবে সংক্রমিত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেখানে বড়দিনের আগের দিন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে এবং লোকজনকে নিজ বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রোগের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে সিডনিতে নানা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।