avertisements 2

সরকারের ঋণ ছাড়িয়েছে ২০ লাখ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:১১ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৫

Text

ছবি : সংগ্রহীত

সরকারের ঋণের পরিমাণ গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ২০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

সরকারের ঋণের পরিমাণ গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ২০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা (ওই সময়ের বিনিময় মূল্য) হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ১৩ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকায়। বাকিটা অভ্যন্তরীণ ঋণ। রাজস্ব আহরণ ও বৈদেশিক আয়ের তুলনায় এ ঋণের পরিমাণ বর্তমানে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশলের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভবিষ্যতে কঠিন সংকটের মধ্যে পড়তে হতে পারে।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশগুলোর একটি। রফতানি ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও আয় আসছে না কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়। অথচ প্রতি বছরই বাড়ছে ব্যয়ের পরিমাণ। এ অবস্থায় ব্যয় মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী উৎস থেকে ক্রমাগত ঋণ করেছে পতিত শেখ হাসিনা সরকার। আবার এ ঋণের অর্থ থেকে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারও হয়েছে। তাই গত আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেয়ার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে জাতির কাঁধে রেখে যায় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকার ঋণের বোঝা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি ও বিদেশী ঋণ ৮ লাখ ১২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।

শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে দেশের বাজেটের আকার যতটা বেড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি স্ফীত হয়েছে সরকারের ব্যাংক ঋণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে সরকারের মোট ঋণ ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশী উৎস থেকে নেয়া হয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ২০ কোটি টাকার ঋণ। বাকি ১ লাখ ১৫ হাজার ৮১০ কোটি টাকা নেয়া হয় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হয় এ ঋণ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, একদিকে ক্রমাগত দেশের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, অন্যদিকে ঋণ হিসেবে নেয়া অর্থের নয়-ছয় হয়েছে। এমনকি দেশের বাইরেও পাচার হয়েছে। ঋণ নিয়ে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে যেখান থেকে তেমন কোনো রিটার্ন আসছে না। উৎপাদনশীল খাতে ঋণের অর্থ ব্যয় করা না হলে সেটি পরিশোধের সক্ষমতাও কমে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘টাকার অবমূল্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্থানীয় মুদ্রায় বিদেশী ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি পরিমাণগত দিক দিয়েও আমাদের ঋণ বেড়েছে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেও বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। আমরা যে হারে ঋণ করছি তাতে প্রতিনিয়ত আমাদের ঋণ বাড়তে থাকবে। এখন দেখার বিষয় যে ঋণ করছি সেটি পরিশোধের সক্ষমতা আছে কিনা। যদি আমরা উৎপাদনশীল খাতে ঋণের অর্থ কাজে লাগাই তাহলে পরিশোধের সক্ষমতা বাড়বে। তখন ঋণের ভার খুব বেশি অনুভূত হবে না। অন্যদিকে ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এক পর্যায়ে সেটি পরিশোধের সক্ষমতা থাকবে না। অতীতে প্রকল্পের জন্য যেসব ঋণ নেয়া হয়েছে সেখানে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার হয়েছে। এরই মধ্যে যেসব ঋণ নেয়া হয়ে গেছে সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। তবে চলমান যেসব প্রকল্প রয়েছে যেগুলোর জন্য ঋণ নেয়া হয়েছে সেগুলো যাতে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং এর থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিশ্চিত করা গেলে আমাদের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বাড়বে। নতুন করে ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে এর মাধ্যমে আমরা উৎপাদনশীলতা কতটুকু বাড়াতে পারব, যেটি দিয়ে পরিশোধের সক্ষমতা অর্জন করতে পারব। এটি নিশ্চিত করা না গেলে ঋণের ভার ক্রমাগত বাড়তে থাকবে এবং পরিশোধের সক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়বে, যেটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বড় বড় মেগা প্রকল্পকে ঘিরে প্রতি বছরই স্ফীত হয়েছে বাজেটের আকার। যদিও এর সঙ্গে সংগতি রেখে রাজস্ব আহরণ বাড়েনি। বরং গোষ্ঠীস্বার্থে করছাড়সহ নানা সুবিধা দেয়ায় রাজস্ব হারাতে হয়েছে। এ অবস্থায় বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঋণের পাশাপাশি বিদেশী সহায়তার ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে। আর বিদেশী সহায়তার বিনিময়ে বিদেশীদের শর্ত মানতে গিয়ে খর্ব হয়েছে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের স্বাধীনতাও।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার। তাতে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল ঘাটতি বাজেট। এ ঘাটতি মেটানোর কথা ব্যাংকসহ দেশী-বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নিয়ে। বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিগত আওয়ামী সরকারের বাজেটে খুব বেশি পরিবর্তন করেনি। সম্প্রতি বাজেটের আকার কমানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে বাজেট কমবে সামান্যই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের জন্য নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে অর্থবছর শেষে সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।

গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরের রাজস্ব আহরণের তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সংস্থাটি ১ লাখ ১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে। যদিও এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে প্রতি মাসে আহরণ হয়েছে ২৫ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ সময়ে রাজস্ব আহরণ কমেছে ১ শতাংশ।

রাজস্ব আহরণ না বাড়লেও সরকারের ব্যয় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে বাড়ছে সরকারের ঋণনির্ভরতাও। বর্তমানে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগই চলে যাচ্ছে ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধে। এ অবস্থায় চলমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে প্রতি বছরই বাংলাদেশের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াচ্ছে আইএমএফ। চলতি অর্থবছরের জন্য সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও দেশের বিদ্যমান প্রতিকূল অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে তা অর্জনের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বাড়তি রাজস্ব আদায়ে শত পণ্যের মূসক ও শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্রমেই বড় হয়েছে সরকারের ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাবে উঠে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরেই ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ বাবদ সবচেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে সরকারকে। এমনকি এ ব্যয় এবার রাজস্ব আহরণকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণ অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারকে স্থানীয় ও বিদেশী মিলিয়ে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর সঙ্গে ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। যদিও অর্থবছর শেষে সুদ ব্যয়ের পরিমাণ আরো বেশি হবে। সেজন্য এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছর শেষে আসল ও সুদ মিলিয়ে সরকারের ঋণ পরিশোধ ৪ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছতে পারে। চলতি অর্থবছরে সরকারের ঋণ পরিশোধ সর্বোচ্চ হলেও ২০২৮-২৯ অর্থবছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের চাপ তুলনামূলক বেশি থাকবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ কম নাকি বেশি সেটি পরিমাপের জন্য জিডিপির সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু খোদ বাংলাদেশের জিডিপির আকারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া জিডিপির অনুপাতে বাংলাদেশের ঋণ কম থাকলেও অর্থ সংকটের কারণে তা পরিশোধ করতে গিয়ে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে রাজস্ব আহরণ এবং রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের সঙ্গে ঋণের ঝুঁকি মূল্যায়ন করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের হিসাবে মোট ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৫ শতাংশ এবং বিদেশী ঋণ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত থাকলে সেটি নিরাপদ। সরকারের হিসাব অনুসারে জিডিপি যে হারে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে তার চেয়ে বেশি। এভাবে চলতে থাকলে ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। আমাদের জিডিপির আকার নিয়েও প্রশ্ন আছে। সেক্ষেত্রে ঋণের দিক দিয়ে আমরা হয়তো এখনই নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে গেছি কিংবা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেখানে চলে যেতে পারি। ঋণের নিরাপদ সীমার চেয়ে অনেক নিচে থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে টাকার অভাবে ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে শুধু জিডিপির অনুপাতে ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হলে সেটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’

বৈদেশিক মুদ্রায় আয়ের (রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স) সঙ্গে ঋণের তুলনা করা হলে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে ১৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মানে বৈদেশিক আয়ের তুলনায় বিদেশী ঋণের পরিমাণ প্রায় দেড় গুণ। এটি ডলারের তারল্য প্রবাহের চাপের প্রতি ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাস্তবেও সেটি দেখা যাচ্ছে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। অন্যদিকে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ তুলনা করলে দেখা যায় যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এটি ছিল ২১২ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে ২৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর মানে হচ্ছে আমাদের রাজস্ব আয়ের তুলনায় অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ আড়াই গুণেরও বেশি। রাজস্ব আয় না থাকলে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ করবেন কীভাবে? বাজেটের কথাই যদি ধরি আমাদের বাজেটের ৭ টাকার মধ্যে ১ টাকাই যাচ্ছে সুদ পরিশোধে। তাছাড়া নতুন করে যে ঋণ নেয়া হচ্ছে তার একটি বড় অংশ ঋণের আসল পরিশোধ করতে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশের জিডিপির অনুপাতে ঋণের পরিমাণ কম থাকা নিয়ে আত্মতুষ্টির কিছু নেই জানিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘অন্যদের ক্ষেত্রে আমাদের মতো নিম্ন রাজস্ব ও বৈদেশিক আয়ের মতো সমস্যা নেই। ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান এ ঋণের বিষয়টি কীভাবে সামাল দেয়া সম্ভব হবে সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2