নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ৬ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার মধ্যরাতে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই মধ্যরাত থেকে ফের জাল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা। বুধবার মধ্যরাতের পরই সাগরে ছুটেছেন অনেক জেলে। আর স্থানীয় জেলেরাও নদ-নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে পড়েছেন।
জেলেরা আশা করছেন, ২২ দিন বন্ধ থাকায় এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। ফলে তাঁরা ক্ষতি পুষিয়ে ধারদেনা পরিশোধ করতে পারবেন। হালিশহরের রাণী রাসমণি ঘাট এলাকার জেলে কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘আমাদের জন্য এই ২২ দিন ঘরে বসে থাকা ছিল খুব কষ্টের।
কারণ জলই জেলেদের প্রাণ। আবার আমরা মাছ শিকারে যাব, ভাবতেই ভালো লাগছে।’ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া এলাকার জেলে মন্টু আকন জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে জাল আর ট্রলার নিয়ে দ্রুত সাগরে ও নদীতে যেতে পারেন সে জন্য জেলেরা আগে ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, ‘ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বেকার জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমে আমরা ২০ হাজার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।’
ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর জেলেদের সচেতনতা ও ভিজিএফএর চাল ঠিক সময়ে বিতরণ করায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযান প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘উপকূলের জেলেরা নিজেরাই এখন অনেকটা সচেতন।
আমরা দিন-রাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। তার পরও নিষেধাজ্ঞা না মেনে অনেক জেলে ইলিশ শিকারে গিয়ে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা গুনেছেন।’
প্রসঙ্গত, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে পদ্মা, মেঘনাসহ উপকূলীয় ১৯ জেলার নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর গত ১৪ অক্টোবর থেকে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
এ সময়টাতে ইলিশ পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ ছিল। সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন ২০ কেজি করে চাল পেলেও এ কয়টা দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনে কেটেছে জেলেদের সংসার।