avertisements 2

মেয়ের ফাঁসি চাইলেন বাবা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৩৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

ঢাকার দক্ষিণখানে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও পরকীয়া প্রেমিকা স্ত্রী আসমা মিলে ছয় টুকরো করে স্বামী আজহারকে হত্যার ঘটনায় মেয়ে আসমার ফাঁসি চাইলেন বাবা আশরাফ আলী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ি গ্রামে।

আশরাফ আলী জানান, ছয় টুকরো করে হত্যা করার বিষয়টি হৃদয় বিদারক, কষ্টদায়ক ও ন্যাক্কারজনক। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমার মেয়ে আসমা যদি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার ফাঁসি দাবি করছি। দুষ্টু গরু থাকার চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।

তিনি আরো জানান, আসমার তৃতীয় বিয়ে হওয়ার পর থেকে আমাদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত বছর ঈদে আমাদের বাড়ি আসছিল সে। এরপর আর কোনো যোগাযোগই ছিল না। গত রোজার ঈদের আগে আসমার স্বামী যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিল তখন থেকে আবার যোগাযোগ শুরু হয়।

লাশ উদ্ধারের দিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে হত্যার বিষয়টি জানায়। কে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তা কিছুই বলেনি তারা। পরে মেয়েকে নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় যাই। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যা ব আমাদের আলাদা করে একটি ঘরে বসিয়ে রাখে। সেখানে কথা বলার পরদিন আমাকে ছেড়ে দেয়। এরপর আসমা ও ইমামকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আসমার ছেলে আরিয়ান সিকদারকে আমার হেফাজতে দিয়েছে র্যা ব। আরিয়ান এখন আমাদের হেফাজতেই রয়েছে।

আশরাফ আলী জানান, তার পাঁচ সন্তান, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। সন্তানদের মধ্যে আসমা দ্বিতীয়। ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের পরদিন আসমা চলে আসে স্বামীর সংসার ছেড়ে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে কালিহাতীর এলেঙ্গা রাজাবাড়ি জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই আসমা ও সাহাবউদ্দিনের ছোট ভাই আজহারুল বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন সাহাবুদ্দিনকে তালাক দিয়ে আসমা আজহারুলকে বিয়ে করেছেন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেনি পরিবারের লোকজন।

আসমার প্রতিবেশিরা জানান, বিয়ের আগে পর্যন্ত আসমা অনেক ভালো ছিল। ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভাল ছিল। কিন্তু প্রথম বিয়ের পর থেকে আসমা পরিবর্তন হতে থাকে। এরপর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে দ্বিতীয় স্বামীর ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে চলে যায়। তারপর থেকে এলাকায় তেমন আসেনি। এলাকাবাসীর সঙ্গে তেমন কোনো কথাও হয়নি। সেই স্বামীকেও হত্যা করা কঠিন কাজ। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।

নিহত আজাহারের বাবা জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। তার কোনো ভুলও ছিল না। তারপরও কেন আমার ছেলেকে হত্যা করা হলো? সে তো আমার ছেলেকে তালাক দিয়ে ইমামকে বিয়ে করতে পারতো। আমি আসমা ও ইমামের ফাঁসি দাবি করছি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৪ মে) দিনগত রাতে উত্তরার দক্ষিণখান সরদার বাড়ি জামে মসজিদের সেফটিক ট্যাংক থেকে আজহারের ছয় টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার ও মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2