avertisements 2

৩৩৩-এ ফোন করে সরকারি খাদ্য সহায়তা চাইলেন ৪ তলা বাড়ির মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫০ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দরিদ্রদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত যারা দরিদ্র হয়ে পড়ছেন, তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। ল;;জ্জায় চাইতে না পারা এ জনগোষ্ঠী ৩৩৩ নম্বরে কল দিলেই পাবে খাদ্য সহায়তা। সরকারি সেবার কল সেন্টার ৩৩৩ -এ ফোন করে জরুরি খাদ্য সহায়তা চেয়ে উল্টো ফেঁ;সে গেলেন ৪ তলা বাড়ির মালিক।

খাদ্য পাওয়া তো দূরের কথা এখন তাকে উল্টো জরিমানা হিসেবে ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকায়।

আর ১০০ জনের প্রত্যেকের জন্য সহায়তার প্যাকেটে রাখতে হবে ১০ কেজি করে চাল, ৫ কেজি করে আলু, ১ কেজি করে ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি পেঁয়াজ।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, কাশীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহম্মেদ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চান।

বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে সরেজমিনে হাজির হয়ে দেখা যায়, তিনি নিজেই একটি ৪ তলা ভবনের মালিক। নিছক দুষ্টুমির ছলে ফোন করে তিনি ধরা পড়ে যান। এভাবে সরকারি শ্রম, সময় ও সহায়তার অপব্যবহারের চেষ্টা করায় জরিমানা হিসেবে তাকে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, ওই চার তলা ভবনটি ফরিদ আহম্মেদের পৈত্রিক সস্পত্তি। তারা চার ভাই এক তলা করে ভাগে পেয়ে বসবাস করছেন। ফরিদ মিনি হোসিয়ারীর ব্যবসা করতো। ব্যবসা লোকসান হওয়ায় বর্তমানে অন্য হোসিয়ারীর মালিকের মাল কেটে গেঞ্জি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।

৩৩৩ নম্বরে ফোন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সরকারের উদ্যোগ সত্যি কিনা যাচাই করতে ৩৩৩ তে ফোন করেছিলেন তিনি। ফরিদ আহম্মেদের ফোন পেয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফা জহুরা হাজির হন তার বাড়িতে। পরে দেখে ফরিদ ৪ তলা ভবনের মালিক এবং সচ্ছল মানুষ।

জানা গেছে, শনিবার (২২ মে) ইউএনও’র উপস্থিতিতে জরিমানা করা খাদ্যসামগ্রী গরীব ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2